আমার সমস্যা হল, ১) হাতের লেখা খারাপ। ২) ভূগোল পড়তে একদম ভাল লাগে না। ৩) স্কুলে কোনও ফর্ম ইত্যাদি জমা দিতে হলে ভুলে যাই। ৪) মাঝে মাঝে বানান ভুলও হয়। কী করব?
অমৃতা দত্ত। চতুর্থ শ্রেণি, ভগবতী শিশু শিক্ষায়তন, পশ্চিম মেদিনীপুর
অমৃতা, হাতের লেখা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া খুব দরকার। হাতের লেখা অভ্যাস করতে হয়। লাইন টানা খাতায় একটা লাইন লিখে, নীচে সেগুলো ধীরে ধীরে উপরের লাইনের মতো করে লেখার অভ্যাস করতে হয়। আজকাল হাতের লেখা অভ্যাস করার খাতায় উপরের লাইনটি ছাপাই থাকে। তা না হলে, হাতের লেখা ভাল, এমন কাউকে দিয়ে উপরের লাইনটি লিখিয়ে নিয়ো।
যখনই আমাদের কোনও বিষয় পড়তে ভাল লাগে না, তখন ধরে নিতে হবে বিষয়টি আমি ভাল করে বুঝতে পারছি না। ভূগোলে তো অনেক মজার-মজার বিষয় থাকে। তুমি যে পৃথিবীতে বাস করছ, সেই পৃথিবী কেমন, ভূগোলের মাধ্যমে তা জানতে পারো। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভূগোল পড়ো। যেটা বুঝতে পারছ না, সেটা কারও কাছ থেকে বুঝে নাও। দেখবে, ভূগোল ভাল লাগতে শুরু করেছে।
একটা ডায়েরি রাখো। তাতে পরের দিন কী কী নিয়ে যেতে হবে লিখে রাখো। রাতে শুতে যাবার আগে প্রত্যেক দিন ডায়েরি দেখে যা যা নিয়ে যেতে হবে, গুছিয়ে রাখো। ভুল করা কমে যাবে।
বানান ভুলও অভ্যেসের মাধ্যমেই ঠিক করতে হবে। যে বানানটা ভুল করেছ, সেটা অনেক বার লিখবে। লেখার সময় মুখে প্রতিটি অক্ষর মুখে উচ্চারণ করবে, আর ওই শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করবে। বানান ভুল কমে যাবে।
অঙ্ক নিয়ে আমার সমস্যা। যদি বা বুঝে প্রথম দিন করতে পারি, পরের দিন আর পারি না।
জিৎ গাইন। ষষ্ঠ শ্রেণি, লোখাশোল জুনিয়ার হাইস্কুল, জয়রামপুর, বাঁকুড়া
জিৎ, তোমার প্রশ্নের ধরনই বলে দিচ্ছে, তোমার অসুবিধে কোথায়। আমার মনে হচ্ছে, তুমি অঙ্ক বুঝতে পারো না। বুঝে নিলে আগের দিন করা অঙ্ক পরের দিন করতে না পারার কথা নয়।
আমার আরও মনে হচ্ছে, তোমার অঙ্কের ভিত কাঁচা। অর্থাৎ আগের শ্রেণিগুলিতে যা পড়ানো হয়েছে, তুমি ভাল করে বোঝোনি। তা যদি হয়, তা হলে আগে ভিতটা ঠিক করো। তোমার যদি কোনও শিক্ষক বা গৃহশিক্ষক থাকেন, তা হলে লজ্জা না করে আগের শ্রেণির বিষয়গুলি বুঝে, সেগুলি অভ্যাস করো। তার পর বর্তমান শ্রেণির বিষয় অভ্যাস করো। অঙ্ক এমন একটা বিষয় যেখানে প্রত্যেকটি ধাপে পা রেখে সেটি অতিক্রম করতে হবে। দুটো সিঁড়ি একসঙ্গে টপকাতে পারো না। চেষ্টা করো, নিশ্চয় পারবে।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy