Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ক্লাউনগিরি

বিন্ধ্যগিরি, ধবলগিরি, ক্রৌঞ্চগিরি পেরিয়ে ৩৪৫২৬ মাইল নৈঋর্তে গেলে, ক্লাউনগিরি। সেখানকার অদ্ভুত মানুষের উদ্ভট কথাবাত্তা। চন্দ্রিল ভট্টাচার্যআরে ধুর, তোদের মেন স্ট্র্যাটেজি তো মুখোশ ডিস্ট্রিবিউশন! মাইরি, মেয়েদেরও সেম মুখোশ দিচ্ছে! মিছিল চলেছে— সবার পরনে শাড়ি, মুখে চাপ সাদা দাড়ি! হরেন্ডাস! সেটাই নারী-ক্ষমতায়ন বে! ইচ্ছে করলে ওরা দাড়িও গজাতে পারে! নারীর ক্ষমতা! তুই বোঝাবি! আমাদের কাপ্তেন-ম্যাডামকে দেখেছিস? এ-হাতে ফাইল, ও-হাতে দলের মধ্যে চোদ্দো ফ্যাকশনকে চিপকে রাখার গঁদের আঠা, অন্য হাতে স্যাটাস্যাট ছবি আঁকছেন, কোটি টাকার ওপরে ফটাফট সেল!

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৪ ০০:০৫
Share: Save:

* আরে ধুর, তোদের মেন স্ট্র্যাটেজি তো মুখোশ ডিস্ট্রিবিউশন! মাইরি, মেয়েদেরও সেম মুখোশ দিচ্ছে! মিছিল চলেছে— সবার পরনে শাড়ি, মুখে চাপ সাদা দাড়ি! হরেন্ডাস!

* সেটাই নারী-ক্ষমতায়ন বে! ইচ্ছে করলে ওরা দাড়িও গজাতে পারে!

* নারীর ক্ষমতা! তুই বোঝাবি! আমাদের কাপ্তেন-ম্যাডামকে দেখেছিস? এ-হাতে ফাইল, ও-হাতে দলের মধ্যে চোদ্দো ফ্যাকশনকে চিপকে রাখার গঁদের আঠা, অন্য হাতে স্যাটাস্যাট ছবি আঁকছেন, কোটি টাকার ওপরে ফটাফট সেল!

* খিঃখিঃ। এখন অবশ্য সেটা ‘পজ’ মোডে। যে কিনবে সে তো জেলখানায় খটাখট করছে!

* চোপ! তোরা মানুষ? আগে তোদের পার্টিতে ছিল লেনিন, স্তালিন। এখন, ‘টয়লেট কোথায় পাব আপৎকালীন?’

* হিহিহি! ভাল দিয়েছিস! আমাদেরও চাম্পি সেনটেন্স ভাবা আছে। ‘চাঁদের কপালে চাঁদ tea দিয়ে যা!’

* উফ্ফ্, নেওয়া যাচ্ছে না! একটা লোক চা বেচেছে বলে ছাতি চল্লিশ ইঞ্চি! নোবেল পাইনি তো কী, আমি ইস্টিশনে চা বেচেছি!

* চল্লিশ নয়, ছাপ্পান্ন ইঞ্চি। এটা মিসটেক করিসনি। হ্যাঁ, চা বেচেছেন, অজ গাঁয়ে ডাংগুলি পিটিয়েছেন, তাপ্পরে আজ এই লেভেলে। স্ট্রাগ্ল-টা বুয়েচিস?

* স্ট্রাগ্ল! আমাদের উনি হাওয়াই চটি পরে পাহাড় চড়েন রে। টিপিনে সিরেফ মুড়ি-ফুলুরি। সিপিএমের অবধি চোখে জল এসে যায়!

* কেন? আমাদের শাহজাদা কম কীসে? বাপ মার্ডার, ঠাম্মা মার্ডার, মা-কে ইটালিয়ান বলে লোকে টোন কাটছে!

* অ্যাই চুপ চুপ! স্বয়ং ওঁয়ারা এসে পড়েছেন।

* হেলিকপ্টারে একটা ভটভট শব্দ হচ্ছিল না? ওই একটি ভট যদি গ্যাঁড়াকল করেছে না, বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব! ডিফেক্ট টেকনিকাল না পলিটিকাল, বুঝতে আমার এক সেকেন্ড!

* টেকনি‘কাল’ বুঝিস, পলিটি‘কাল’ বুঝিস, শুধু আগামীকালের ব্যাপারটা কাঁচা।

* মানে!

* মানে, আজ লন্ডনাচ্ছিস, কাল ঢনঢনাবি! কী ইমেজ করেছিলি! যেন মাতঙ্গিনী হাজরাকে তেইশ দিয়ে মাল্টিপ্লাই! আর এখন? যে ঘোটালায় দলকে ফেলেছিস, কাল তো সব কে সব কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে খিচুড়ি খাবে!

* চোরের শালার বড় গলা! তোর জামাইবাবু আজকে পেপসি খাচ্ছে, কাল জেলের লপ্সি গিলবে রে ছোঁড়া!

* আরে তোরা দুটোই সমান! এর টু-জি আর জিজাজি, ওর ত্রিফলা আর ঋ-ফলা— হোলসেল ডিফেক্টিভ। তোদের ঢিট করতে সেন্টারে চাই একটা কড়া মাস্টারজি! কাঁটাওলা ইয়া বুট। জনগণ হিল চাটবে আর মালা পরাবে।

* সে-ই ভাল। তোর অন্য মালাবদলটায় তো গ্যামাক্সিন!

* তাতে কী? বুদ্ধও দেশের কাজের জন্যে বউকে ফেলে পালিয়েছিলেন।

* অ্যাঁ! বুদ্ধ এরম করেছে! আর এটাকে তোরা ইস্যু করিসনি?

* দূর! ওই মরুঞ্চে পার্টির এগেনস্টে আবার ইস্যু? এখন ওদের কাজ খুনখুনিয়ে কাঁদা। একটাও অ্যাগ্রেসিভ কমেন্টের ধক আছে?

* তার কারণ আমরা শিক্ষিত রে, পোলাইট! ভোরে উঠে মার্ক্স পড়তে বসি।

* গো-হারানের মশলায় শিরদাঁড়া চাউমিন বনে গেলে সব্বাই পোলাইট হয়ে যায় রে ভাই। আগের বার তো পেছন-ফেছন তুলে কথা বলেছিলি। তখন কি মার্ক্সের বদলে মহায়ন গিলতিস?

* ফড়ফড় করিস না! ভোটে যে ভয়ের মেগা-মশারিটা টাঙিয়েছিস, সেটা তো পুরো আমাদের থেকে চোতা!

* ডিফারেন্স আছে বস! অ্যাই, ভোটারটাকে ডাক! বল তো, কী এক্সপিরিয়েন্স?

* আজ্ঞে, ভোট দিতে যাচ্ছি, চাড্ডি ভীষণ কেয়ারিং ক্যাডার এসে কলার ধরে বললে, রোদ লেগে আমাশা হবে, বাড়ি যা। আমি ত্যান্ডাইম্যান্ডাই করতেই, ওরেশ্লা, গদ্দাম গদ্দাম লাথ! এখন টিভিতে বারবার দেখাচ্ছে। বউ ভরপেট্টা খুশি: কী সুন্দর লাগছে গো তোমায়! * তবে? একটু লেট-এ বুইবি, কিন্তু আমরা যা করি মঙ্গলের জন্য। অবশ্য সোমের জন্যও, কাল তো লাস্ট ফেজ-টা আছে।

* আমায় ভোট দিলে ওর বউকে ভি সুন্দর করে দিতাম! আমার রাজ্যে উন্নয়নের স্ট্যাট জানিস! সব মানুষ উড়তে পারে। সব্বার বাথরুমে আইফেল টাওয়ার।

* আইফেল টাওয়ার আমায় দেখাসনি। আমায় এখানে পুঁতে দিলে কোথায় গিয়ে উঠব গেস কর তো? প্যারিসে!

* আর প্যারিসে পুঁতে দিলে?

* তখন মালদা-র একটা হোটেলে উঠবে। যেখানে এসি ফেটে যাবে। আর শর্ট সার্কিটকে মার্ডার অ্যাটেম্প্ট বলে ঘ্যাম নেবে! খ্যাখ্যাখ্যা!

* লজ্জা নেই! বাংলাকে কন্টিনিউ বঞ্চনা করছিস, ধার মকুব করছিস না, তার ওপর এরম সিরিয়াস পয়েন্ট নিয়ে ফিচলেমি! এই তেলচুক এলিটগুলোর পোঁতা লাখ খতরনাক মাইন, মধ্যে দিয়ে জিগজ্যাগ দৌড়ে আমি চলেছিইই, চলেছিইই, মানি না কাহারও আইন, যেন বর-পাওয়া গুপি গাইন, ওইই তো দিল্লির রোড-সাইন। মিল-এ ভুল নেই তো, কবি? তুই তো পাল্টি খেয়ে এখন আমাদের পার্টির?

* ছি! কবি কোনও পার্টির হয় না। কবি শুধু ক্ষমতার। আগে সিপিএমের হয়ে গলা ফাটিয়েছি, এখন তৃণমূলের হয়ে কণ্ঠ কচলাচ্ছি, কাল ফের সিপিএম পাওয়ারে এলে তুরন্ত শীর্ষাসন: আমি তোমাদেরই পোক! যে আমার ব্যাকপকেটে মন্ডা গুঁজে দেবে, আমি লাইটনিং-লাফিয়ে তার কোলে নাড়ুগোপ্লা। বিজেপিও আমার মা, আপ-ও আমার বাপ।

* জনগণকে কী জবাব দিবি?

* জবাব! আমার কীসের দায়? আমি ক্রিয়েটিভ ভাই! ক্রিয়েটিভ লোক শিল্পে প্রতিষ্ঠানের কাপড় ছাড়িয়ে নেয়, বাস্তবে প্রতিষ্ঠানের মোজা কাচে। আমি সেই মহান ট্র্যাডিশনের তোশকে হামা টানছি!

* স্যার, ম্যাম, একটা কোশ্চেন, আধটা বাইট!

* এই শকুনগুলোকে আবার কে ঢুকতে দিল!

* শালারা বুদ্ধিজীবীদেরই ম্যাচিং মাসতুতো। প্রশ্নটাও বলে দিচ্ছি। এজেন্ডা নয়, ম্যানিফেস্টো নয়, দড়কচা-গুলোর সওয়াল: আপনেরা গরম থেকে বাঁচার জন্যে পকেটে কী রাখেন? তরমুজের পিস? কাবাবচিনি? পেঙ্গুইনের ছা?

* বেসলেস বকওয়াস! আমাদের ডিপ প্রশ্ন: টেনশনের মোমেন্টে কাকে আঁকড়ান? বাবার লকেট? মায়ের জবা? বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট? সাইকায়াট্রিস্ট?

* মনে এল, একটা পাগড়ি-পরা পিকুলিয়ার নিজেকে পাগলের ডাক্তার বলে আলখাল্লা ঝলাচ্ছিল না? দিদিকে নিয়ে বেলেল্লা কথা বলেছিল!

* আমি! পাশে বউ থাকতে বক্তৃতায় মেয়েদের নিয়ে কুচ্ছিত কথা বলব? সেই-সেই দিন তো ওকে বাড়িতে রেখে আসি! গুঁগুঁগুঁ... এই খেয়েছে, ফের লিউকোপ্লাস্ট আটকে গেছে!

* এই এই খুলে দে খুলে দে! মুখ দিয়ে হাওয়া ঢুকছে না, তার মানে যাচ্ছেতাই খিস্তি করবে!

* কেন?

* কেন মানে? বডিতে অক্সিজেন কম যাচ্ছে তো! মানুষ কি খিস্তি করে ভদ্রতার অভাবে? উঁহু, অক্সিজেনের অভাবে। লাইফ সাইন্স পড়িসনি?

* রাইট! আমার চ্যালা বলেছে, এই ভোটে বদলা নাও। কী খারাপ বলেছে? সবাই জানে, ওর বডিতে ভাল করে নাইট্রোজেনটা যায় না।

* তোর আর একটা চ্যালা বলল না, মুসলিমগুলোকে দেখলেই ধরে ধরে পাকিস্তান পাঠিয়ে দাও? ওর বডিতে কী কম যায় রে?

* ওর বোধহয় সালফার। দাঁড়া চেক করে নিই।

* গ্যাসগুলো সাংঘাতিক! এই তো আমি গায়ক থেকে নিজেকে পলিট-নায়ক হিসেবে রি-মেক করছি, সে দিন উকিলদের আড্ডায় গেছিলাম, খেজুর করব, ব্যারিটোনে দু’কলি রোবিন্নাথন ছেড়ে বেরিয়ে আসব। অ বাবা, কী চ্যাটাং চ্যাটাং অ্যাটাক! উত্তর খুঁজে না পেয়ে জিভ ঠা-ঠা, বুক-পেট জ্বলুন্তি। পরে বেরিয়ে এসে পার্টির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম, গ্যাস হয়েছিল।

* আরে, পাবলিক উত্তরও চায় না, ভোট দিতেও চায় না। ওরা চায় ফুল্টু মস্তি। একটা নেচো-মাচো ফিলিমচন্দর নিয়ে যাবি, কাঁকাল বেঁকিয়ে আইটেম নাচবে। ব্যস, ফুত্তির চোটে চেয়ার ভেঙে যাবে! সাধে কি খুলেছি গ্ল্যামার ম্যানেজমেন্ট কোং? সব কে সব স্টার হাত জোড় করে ওং!

* খুব টাকা লাগে, না?

* টাকা! একটা ফোন করে ভালবাসা দিবি, আধ মিনিটে জিতে নিবি! তোর মন্তর আউড়ে গলা ভেঙে ফেলবে!

* এত ভাঙাভাঙির কথায় জিভে জল আসছে রে! সেই যে মন্দির বানাতে যেটা চুরচুর করলুম মিহিদানার মতো, ইস্স্, এই ভোটে সে টেস্টি গপ্পোটা চাখা বারণ! অবিশ্যি এক-দু স্থানে পুটুস ফুটিয়েছি!

* ইইক! মন্দিরের কথা তুলিসনি! এদের হ্যালুসিনেশন হয়। হুট করে চিল্লাবে, আমি মদ খেয়ে ঢুকে পড়েছিলুম!

* অ্যাই অ্যাই অ্যাই, এই নাস্তিক সিংগারটার হাতে পষ্ট যেন একটা বন্দুক দেখা যাচ্ছে না?

* না তো, ওর পাশের লোকটার হাতে।

* ধুুর মরণ! বাঁ দিক থেকে ষষ্ঠ লোকটার সাত মাইল দূরের বাড়িতে ন্যাংটো ভাগনে ক্যাপ ফাটাচ্ছে আর তুড়ুক নাচছে।

* ওই হল, ভিলেন তো এ-ই। লাগা নালিশ!

* ছ্যা ছ্যা, জোয়ান মদ্দ হয়ে জাস্টিসের জন্যে অন্যের ওপর নির্ভর? একটা সালিশি সভা ডাক, পায়ের তল দিয়ে মড়মড়িয়ে আপত্তি আর বিপত্তিরে পিষে দে।

* ধ্যাৎ গাড়ল! ঘোড়াড্ডিমোক্রেসিতে এ ভাবে মাথা গরম করে? পুলিশকে কোঁচড়ে পুরতে হয়। তাপ্পর নিশুত রাতে ছিটকিনি তুলে ভিলেনদের আটকে, বানা তন্দুরি!

* সবক’টা ক্রুডেশ্বর। শোন মনা, একটা পুচকে এক্সপ্লোসিভ নে। প্লাস্টিকে মুড়ে, অপোনেন্টের জগিং-পথে জাস্ট ফেলে রাখ। রিহার্সাল-দেওয়া ক্রাউড আচমকা সেটা খুঁজে পেয়ে তাকে স্বতঃস্ফূর্ত ঢিশুয়াঁ যা দেবে না! এইয়ো! এইয়ো!

* দ্যাওঃ, দ্যাওঃ, দ্যাও না দাদা এই পাহারোলাকে ঘা-কতক কষিয়ে! আমার পেছন পেছন তখন থেকে পাঁইপাঁই ছুটছে!

* শয়তান! সারা ক্ষণ আমার সোনা ছেলেগুলোকে তাড়িয়ে বেড়ায়! কিছু কি চেয়েছিল, দিসনি? বাড়িতে মুড়ি-নারকোল ছিল না? পকেটে এট্টু বাতাসাও তো রাখতে পারিস।

* বলছে ওই মুড়ি-বাতাসা খেতে খেতে বদলি হয়ে যা। আমার খাটটা সেই ঠাক্মার আমলের। বিছনা-বেডিং বেঁধে নিয়ে যাওয়া সোজা কথা?

* ১৯৪৭-এর পর এ-দেশে এসছিস বুঝি? তাইলে কোঁতকা মেরে তাড়াচ্ছে বেএএএশ করেছে।

* উইশ্লা, তুই জানিস ১৯৪৭-এ কী হয়েছিল? তোর হিস্ট্রির নলেজ তো বলে নেহরু নাকি বল্লভভাইয়ের অন্ত্যেষ্টি অ্যাটেন্ড করেননি! দ্যাখ, হয়তো কোন দিন হট করে মনে পড়বে, কার ফোন ট্যাপ করেছিলি!

* অ্যাঃ! সিকনি-ঝরা কেলোকুলো বাচ্চা নিয়ে পোজ দেওয়ার পর তো পকেটে সাবান কচলাস! লাটের ব্যাটা গাঁট! তুই কী বুঝবি, মাসির দেওয়া মোটা অনুপ্রবেশকারী মায়ের ঘাড়ে পড়লে কী ক্রনিক স্পন্ডি!

* অ্যায় অ্যায়, ওয়ার্নিং! বাংলা ভাগ করতে চাইছে কিন্তু! বাঙালদের তাড়াচ্ছে! বাঙাল গেলে ইস্টবেঙ্গলের কী হবে! চিডি-র কী হবে!

বাংলায় সংস্কিতির তুই কী জানিস! ইহা টেগোর অ্যান্ড টাইগারের ল্যান্ড বে!

* নোবেল আর নখ চুরি গেছে বাওয়া! এখন টু-ইন-ওয়ান আইসক্রিম নীল-সাদা করা ছাড়া আর কোনও ইন্ডাস্ট্রি পড়ে নেই!

* অয়, অয়, সাইরেন! মনে হয় তুই সিডিশনের চার্জে অ্যারেস্ট!

* আরে না, রূপসি-দি ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে আসছেন। সর্বনাশ! ক্যাম্পেন ছেড়ে দেবেন!

* ঠোমাকে আমি একটি ঢিশুঁয়া মারিবে! ডিডি, কী বিপদে ফেললেন? দেখুন, ঘাড়ের কাছটা! লাল টকটকে হয়ে ফুলে ঢোল! মায়ের আশি কেজি এক্সএক্সএল ফোটো বয়ে বয়ে আর ননী-স্কিনের কিচ্ছুটি নেই!

* তা আপনার মা-ই তো আপনার ওনলি পুঁজি। বরং অন্য ঘাড়ে একটা বাইক বয়ে স্টেজে উঠুন! তার ওপর চড়ে গান: এই ভোট যদি না শেষ হয়...

* জোক মারিছেন! রোদ্দুরের ইটার্নাল ছ্যাঁকায় সোনার অঙ্গে ভোটের কালি! ওঃ মা, মা গো! কেন চলে গেলে মা? লোকে হবিষ্যি খায়, আমি ইলেকশন খেলাম!

* কাঁদছে! দিদি, আমাকে দেখুন! ওর চেয়ে কত্ত বয়েস! কিন্তু ঘাড়ে একটা আখাম্বা তারকনাথের বাঁক ব্যালেন্স করে, ওঃ, স্পিডে হনহন! সঙ্গে আবার হাই-পিচে গান: আজ তোমার পরীক্ষাআআ—

* শুধু ভোটারের কেন, সক্কলের পরীক্ষা! যে স্ক্র্যাপ চিজগুলো ট’কে যাওয়া টক-শো’র ছোট্ট ছোট্ট চৌকোয় চিপ্কে আঁতেল ঘাড়টা পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি ঠেঁটিয়ে চার শিফ্টে জিভ লপলপায়, বল দিকি কতগুলো ষোলো অক্ষরের প্যাঁচোয়া চব্ব শিখে আসে!

* আমাকে এই জিভ বের করা পরীক্ষা থেকে এট্টু রিলিফ দেওয়া যায় না? আমার স্বামী ট্রাইবাল।

* আরে! আপনারা এত সিরিয়াসলি স্যাড হয়ে পড়ছেন কেন? এটা একটা বিন্দাস গেম! রেপ হওয়ার মতো। শাউট না করে এনজয় করুন!

* অ্যায় ডায়লগকুমার! লেখা-লেকচার মুখস্থ কর। অরিজিনাল ফড়ফড় করতে যাসনে। টুইটারে খ্যামা চেয়ে পার পাবি না!

* আরেঃ ছাড়ো! আমায় হ্যারাস করবে কে? চাড্ডি রিপোর্টার? সেরম হলে ওদের এডিটরের বাড়ি গিয়ে রাবড়ি সাঁটিয়ে আসব।

* ভাই, এখন নারী-ফারি খুব সেনসিটিভ ইসু! আর রেপ তো...

* তা ‘নির্বাচন’ কথাটাতেই তো ব-য়ে রেপ দিতে হয়!

* বাপ্স! এ তো সুইচ টিপবে খিল্লিতে, শিক্ষার লাশ পড়বে দিল্লিতে!

* তাতে কী? আমি তো প্রেমসে ইতিহাসের লাশ ফেলেছি! কার্গিলে শুধু মুসলিম সৈন্যরাই জেতাল!

* আর আমরা ভূগোলের লাশে কাতুকুতু! ক্যালকাটা=বালুরঘাট। যেথাই নাটক হয়, সেথাই নাট্যকর্মীর জন্মভূমি। বোঝাই যাচ্ছে রদ্যাঁ-র হিসির ক্যাঁতা সার সার শুকোচ্ছিল কুমোরটুলির দড়িতে।

* ওই দড়িটাই এনে বিভেদ-মংগার’টার কোমরে পরিয়ে দে না! বিচ্ছুটার পপুলারিটি হু-হা বাড়ছে!

* রোড-শো’গুলোয় কেভিন স্পেসিকে আনব? এই তো লুঙ্গি ড্যান্স নেচে গেল!

* ফের! ফের বহিরাগত ঢুকিয়ে হুল্লাট! দেখেছিস, তোদের মেন্টালিটি? অ্যান্টি-কান্ট্রি!

* ধুর! তুই ভোঁদা না গাধা! জয় আর বীরুও তো বহিরাগত! ঠাকুর তো ওদের এনেই গব্বরকে নাশ করল।

* ক্রিমিনাল! কয়েন জাল করত! দু’সাইডেই হেড! আইপিএল-এর টস ফিক্স করে না দেয়!

* আমি আর মা আগেই সাসপেক্ট করেছিলাম, নিচু পলিটিক্স করে তো, ব্রেনটাও নিচু। হট করে এতটা জাম্প নিতে গিয়ে গ্রে ম্যাটার গেরুয়া হয়ে গেছে!

* ব্যাটাকে গুড়-জল মারব?

* অন্য কিছুও মারতে পারিস! কবজিও ডিলিট করতে পারিস! ইঁদুর আর ভেড়া কোপাবার কত্ত রক্মা! ইশারা ইজ দ্য কাফি!

* ইশারা করে অব কি বার আর চলবে না মামা! দ্যাখ তোদের কপাল! তোদের সাধের ফসল খেয়ে যাচ্ছে আমার ফেরোশাস পঙ্গপাল! যেন রা-ওয়ান’এর ক্লাইম্যাক্সে হাঁইহাঁই অর্জুন রামপাল!

* ক, পঙ্গ, অর্জুনরাম— ক, পঙ্গ, অর্জুনরামের পথে চলবে। আমরা অ্যাফিডেভিট করে ওদের সব্বারে নাম দিলাম: হরিদাস পাল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chandril bhattacharya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE