অতিথি আসার কথা শুনলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ। কী রেঁধে খাওয়াবেন অতিথিকে? এখন যদিও অনলাইনে একটা ক্লিকেই আপনার পছন্দের খাবার নিয়ে বাড়ির গেটে এসে হাজির হবেন ডেলিভারি বয়। তবে হোটেল থেকে কেনা খাবারে তেল-মশলার ভয়। তেমন আন্তরিকতাই বা কোথায়! তা হলে এখন উপায়?
পোলাও খেতে সবাই কমবেশি ভালবাসেন। আর সেই পোলাওয়ে যদি মিশে যায় মুরগি, তা হলে কেমন হবে? মুরগির মাংস মেশানো কাশ্মীরী আখনি পোলাও বানিয়ে চমকে দিন অতিথিদের। ‘আখনি’ শব্দের অর্থ হল মশলাদার স্টক বা স্যুপ। এই রান্নার ক্ষেত্রে পোলাওয়ের চালটি সেদ্ধ করা হয় এই আখনির জলেই। এই রান্না শুধু স্বাদেই নয়, গন্ধেও সেরা।
আখনি পোলাও নিজেই একটা ‘ফুল পট মিল’! তাই আলাদা করে এর সঙ্গে চিকেন মটনের অন্য কোনও পদ পরিবেশনের প্রয়োজন পড়ে না। আখনি পোলাও, রায়তা আর স্যালাডের সঙ্গে পরিবেশন করলেই জমে যাবে লাঞ্চ কিংবা ডিনার। কী কী প্রয়োজন আর কী ভাবে বানাবেন, রইল হদিশ।
আরও পড়ুন: চিকেনের কেরামতিতে রেস্তরাঁ স্টাইল শিক কাবাব এ বার বাড়িতে!
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
প্রণালী:
প্রথমে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ দিন। বাকি সব শুকনো মশলা একটি কাপড়ে নিয়ে পুঁটুলির মত বেঁধে জলে দিয়ে দিন। এখন মুরগির টুকরোগুলোও এই জলে দিয়ে দিন। গ্যাস হালকা আঁচে রেখে সব সিদ্ধ করে নিন। মুরগির মাংস সেদ্ধ হয়ে সুন্দর একটা গন্ধ বার হলে আলাদা পাত্রে জলটা ছেঁকে রেখে দিন। মুরগিও আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। মশলাগুলো ফেলে দিন।
পোলাও তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে তেল গরম করে নিন। এর পর তেলে গোটা গরম মশলা, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ কুঁচি, আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে দিন। সব একসঙ্গে কষিয়ে পোলাও চাল দিয়ে ভাজুন। চাল ভাজা হলে এতে আখনির জল যোগ করুন। জল ফুটে উঠলে নুন এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। সেদ্ধ করে রাখা মাংস তেলে ফ্রাই করে নিন। চান ৭৫ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা মাংসগুলো দিয়ে পাত্র ঢেকে অল্প আঁচে পোলাওটা রান্না করে নিন। বেরেস্তা ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন কাশ্মীরি আখনি পোলাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy