চন্দ্রযান-৩। —ফাইল চিত্র ।
চাঁদে পৌঁছনোর আগেই মহাশূন্যে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারত ভারতের চন্দ্রযান-৩! রক্ষা পেয়েছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের তৎপরতায়। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, কী ভাবে শ্রীহরিকোটার ‘সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার’ থেকে অভিযান শুরুর কয়েক মুহূর্ত আগে সঠিক পদক্ষেপ করে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল তারা। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরো এ-ও জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩ এবং উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষের একটি টুকরোর মধ্যে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতেই এই পদক্ষেপ তারা করেছিল।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? কী ভাবেই বা এই সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছিল? গত বছরের ১৪ জুলাই নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল চন্দ্রযান-৩। উৎক্ষেপণের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। ইসরোর বিজ্ঞানী থেকে কলাকুশলী— উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। মহাকাশযানটি উড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে পুরো অভিযান নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দেখেন, নির্ধারিত সময়ে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হলে সেটির গতিপথে চলে আসতে পারে ভেঙে পড়া একটি উপগ্রহের ধ্বংসাবশেষ। অর্থাৎ, সেই ‘মৃত্যুদূতের’ সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে চন্দ্রযান-৩।
এর পরেই পুরো উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া চার সেকেন্ডের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দেখেন, উৎক্ষেপণ চার সেকেন্ড পিছিয়ে দেওয়া গেলে চন্দ্রযান-৩-এর ‘পথ আটকাবে না’ ওই ধ্বংসাবশেষ। চন্দ্রযান-৩ পৌঁছনোর আগেই সেটি সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থল পেরিয়ে যাবে।
ইসরো এ-ও জানিয়েছে, শুনে কয়েক সেকেন্ড মনে হলেও আসলে ওই কয়েক সেকেন্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। আর চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণ কয়েক সেকেন্ড পিছিয়ে না দিলে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হত চন্দ্রযান-৩-কে। চাঁদে পৌঁছনোর অনেক আগেই মহাকাশে টুকরো টুকরো হয়ে যেত সেটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy