Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Elon Musk

স্নায়ুর রোগ নিরাময়ে মস্তিষ্কে চিপ মাস্কের

মাস্কের সংস্থাকে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য গত বছর ছাড়পত্র দিয়েছিল আমেরিকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা। উদ্দেশ্য ছিল পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলা।

An image of Elon Musk

ইলন মাস্ক। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩০
Share: Save:

মানবদেহে প্রথম বার ব্রেন চিপ বসানোর ঘোষণা করলেন ইলন মাস্ক। তিনি জানান, তাঁর স্টার্ট আপ সংস্থা নিউরালিঙ্ক মানুষের মস্তিষ্কে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে। প্রাথমিক ফলাফল বেশ চিত্তাকর্ষক। মাস্ক জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন ওই রোগী। মস্তিষ্কের সঙ্গে ব্রেন চিপ মানিয়ে নিয়েছে। যা রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তবে এই পরীক্ষা নিয়ে এখনই বিস্তারিত তথ্য সামনে আনেননি মাস্ক।

মাস্কের সংস্থাকে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য গত বছর ছাড়পত্র দিয়েছিল আমেরিকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা। উদ্দেশ্য ছিল পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলা। মাস্ক জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার উদ্দেশ্য কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্ককে যুক্ত করে জটিল নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সমাধান। নিউরালিঙ্কের তৈরি এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টেলিপ্যাথি’। ফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে এই যন্ত্র পরিচালনা করা যাবে।

এক্স-এ মাস্ক জানিয়েছেন, কী ভাবে ওই বৈদ্যুতিন যন্ত্র মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযোগ করে। প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এই যন্ত্র বেশ উপযোগী বলেও দাবি মাস্কের। মাস্কের কথায়, “মনে করুন, স্টিফেন হকিং এক জন নিলামকারী কিংবা টাইপিস্টের চেয়ে দ্রুত অন্যের সঙ্গে ভাবের আদান প্রদান করছেন।”

মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল প্রেরণ করে বৈদ্যুতিন যন্ত্রে বার্তা পাঠানো হবে— এ ভাবেই কাজ করবে ওই ব্রেন মেশিন। এই যন্ত্র নিয়ে মাস্কের দাবি সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে তা কতটা নিরাপদ? পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নির্দিষ্ট বিধি লঙ্ঘনের দায়ে চলতি মাসেই মাস্কের সংস্থাকে জরিমানা দিতে হয়েছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক অ্যান ভ্যানহস্টেনবার্গ জানিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্র নির্মাতা যে কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই এ ধরনের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের পরীক্ষা আগেও হয়েছে। ব্রেন চিপ ইমপ্ল্যান্ট কমিউনিটি নিয়ে বহু সংস্থাই কাজ করেছে। তার মধ্যে অল্প কিছু সংস্থাই মানবশরীরে এ ধরনের যন্ত্র বসাতে পেরেছে। অ্যানের দাবি, মাস্কের সংস্থা সেই ‘কমিউনিটি’তে যোগ দিল।

বিষয়টি নিয়ে মাস্ক যতই প্রচার করুন, গোটা পরীক্ষাটি সফল কি না, দীর্ঘ সময়ের পরেই তা বোঝা যাবে বলে জানান অ্যান। এর আগে সুইৎজ়ারল্যান্ডের একটি সংস্থাও একই ভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মস্তিষ্কে চিন্তাভাবনার সঞ্চারের মাধ্যমে হাঁটতে সাহায্য করেছে। উটার একটি সংস্থা ২০০৪ সালে প্রথম বার ব্রেন-কম্পিউটার সংযোগ ঘটিয়েছিল।

তবে মাস্কের দাবি, তাঁর সংস্থার তৈরি ব্রেন মেশিন অবসাদ থেকে মুক্ত করতে পারে। সারাবে মস্তিষ্কের ক্ষতও। মাস্কের দাবি, ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্সের মতো রোগেও সারাতে কার্যকর ওই যন্ত্র। এমনকি স্নায়ুর জটিল রোগ নিরাময়েও কার্যকরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Elon Musk brain Human Brain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE