আকাশে অন্য শারদোৎসব বৃহস্পতিবার রাতে। -ফাইল ছবি।
না, নবমী নিশির কোনও বেদনাই নেই বৃহস্পতিবারের আকাশে। বরং আকাশের শারদোৎসবে যেন আনন্দের রামধনু!
আর এক সপ্তাহ বাদেই পূর্ণিমা। তার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে আকাশে চাঁদও আর একা থাকবে না বৃহস্পতিবার।থাকবে সৌরমণ্ডলের গ্যাসে ভরা দু’টি বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি আর শনির মধ্যবর্তিনী হয়ে। আমাদের চোখে ধরা দেবে রুপোলি রঙের বৃহস্পতি আর হলদেটে সাদা রঙের শনিও। মাঝে থাকবে কিছুটা কাস্তের মতো দেখতে চাঁদ, একটু হলদেটে রঙে।
বস্তুত, গত শনিবার (৯ অক্টোবর) থেকেই আকাশের শারদোৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে! ধরণীর শারদোৎসবের দু’দিন আগেই। যা চলবে বৃহস্পতিবার নবমীর রাত ভোর হওয়া পর্যন্ত। আকাশের এই শারদোৎসব চলেছে ভারত-সহ গোটা উত্তর গোলার্ধে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র ‘স্টারওয়াচ’ এই খবর দিয়েছে। জানিয়েছে, আকাশের মুখ মেঘে ঢাকা না থাকলে টেলিস্কোপ, বাইনোকুলার ছাড়াও খালি চোখে দেখা সম্ভব হবে চাঁদের সঙ্গে বৃহস্পতি ও শনির সহাবস্থানের দৃশ্য।
শুক্লপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে মহালয়ার পরপরই। দেবীপক্ষে আকাশে চাঁদের উজ্জ্বলতাও বাড়তে শুরু করেছে একটু একটু করে। আগামী পূর্ণিমার দিকে এগিয়ে যেতে যেতে। এই সময় আকাশে উজ্জ্বলতম ‘তারা’ শুক্রগ্রহকেও চাঁদের কাছেপিঠে দেখা গিয়েছিল গত শনিবার সন্ধ্যায়। চাঁদের একটু নীচে, ডান দিকে। দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে।
ওই সময় বৃহস্পতি আর শনিও দৃশ্যমান হতে পারত খালি চোখে যদি না পৃথিবী থেকে শুকতারার উজ্জ্বলতা বৃহস্পতির ৫ গুণ আর শনির ৮৫ গুণ হত! শুকতারা আর চাঁদের আলোয় তখন তাই ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সৌরমণ্ডলের গ্যাসে ভরা দু’টি বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি আর শনি।
তবে তাদের কপাল খুলবে বৃহস্পতিবার, সূর্যাস্তের পরপরই। ভোর না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবী থেকে দৃশ্যমানতার নিরিখে সৌভাগ্যবান হয়ে উঠবে শনি ও বৃহস্পতি।
নবমীর রাত পেরিয়ে ভোর না হওয়া পর্যন্ত আকাশের শারদোৎসবে চাঁদ মধ্যবর্তিনী হয়ে থাকবে বৃহস্পতি ও শনির। চাঁদের একটু উপরে ডান দিকে খালি চোখে দেখা যাবে শনিকে। হলদেটে সাদা রঙে। তবে তার বিস্ময়কর বলয়গুলি টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলার ছাড়া ধরা দেবে না।
আর চাঁদের একটু বাঁ দিকে দেখা যাবে সৌরমণ্ডলের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতিকে। রুপোলি রঙে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy