লাল গ্রহের প্রাচীন হ্রদে মিলতে পারে প্রাণের চিহ্ন। ছবি: নাসা
মঙ্গলের সবচেয়ে রহস্যময় গহ্বরে প্রবেশ করতে চলেছে নাসার পারসিভারেন্স রোভার। লাল গ্রহের প্রাচীন নদী উপত্যকার নাম দেওয়া হয়েছে জেজিরো ক্রেটার। তারই পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে এই গহ্বর। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেই গহ্বরের মধ্যেকার শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের দিকে এগোতে শুরু করবে নাসার রোবটযান। সেপ্টেম্বর মাসে পৌঁছবে গন্তব্যে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি মঙ্গলের মাটিতে রোভারটির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে জেজিরো ক্রেটারের মধ্যে যেখানে রোভারটি রয়েছে, তার দক্ষিণ পশ্চিমেই সেই প্রাচীন হ্রদের অবস্থান। খুব শিগগিরই রোভারটিকে তার দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই শুকনো হ্রদটির মধ্যে যে সমস্ত পাথর রয়েছে, তাতে মিলতে পারে প্রাণের হদিস। পাথরের গায়ে জীবাশ্মের খোঁজ করবে রোভার। তা যদি পাওয়া যায়, নিঃসন্দেহে তা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তর ঘটাবে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি।
বিজ্ঞানীরা বলেন, জেজিরো ক্রেটারে একসময় ছিল টলটলে জল। আস্ত একটা হ্রদের অস্তিত্ব ছিল এই গহ্বরের পশ্চিম প্রান্তে। মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, জেজিরো ক্রেটারের মধ্যে যে পাথরগুলি রয়েছে, হাজার হাজার বছর আগে সেগুলির সৃষ্টি হয়েছিল কোনও এক আগ্নেয়গিরির ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের ফলে। এই পাথরের গায়ে অতিক্ষুদ্র জীবাণুর অস্তিত্বের চিহ্ন মিলতে পারে, আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলের মাটিতে প্রাণের উৎস খুঁজতে গিয়েছে নাসার পারসিভারেন্স রোভার। গত এক বছর ধরে এই অত্যাধুনিক রোবটযান ঘুরে বেড়াচ্ছে লাল গ্রহের কোনায় কোনায়। এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে বহু নমুনা সফল ভাবে সংগ্রহ করতে পেরেছে এটি। পৃথিবীর এই পড়শি গ্রহে যে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, দীর্ঘদিন ধরেই তা দাবি করে আসছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই পথেই এ বার নতুন দিশা দেখাতে পারে নাসার পারসিভারেন্স রোভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy