নোভাক জকোভিচকে হিসেবের বাইরে রাখাটা সব সময়ই কঠিন।
এ বারের উইম্বলডনে আমার ফেভারিট গত বারের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারে আর নতুন ভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটানো রজার ফেডেরার। পাশাপাশি এটাও বলব, শুধু এই দু’জনকে এগিয়ে রাখাটা আমাদের মতো বিশেষজ্ঞদের দূরদর্শিতার অভাব বলেও অনেকের মনে হতে পারে। কেন না নোভাক জকোভিচ আর রাফায়েল নাদালকে হিসেবের বাইরে রাখাটা সব সময়ই কঠিন।
মারের জন্য উইম্বলডন চিরকালই একটা বিশেষ কোর্ট। দু’বার টুর্নামেন্টটা জিতে ফেলেছে বলে এটা বলাই যায় যে, নিজের দেশের প্রবল জনসমর্থন আর প্রত্যাশার চাপ সামলে কী ভাবে সেরাটা দিতে হয়, সেটা মারে জানে। তবে আমার মনে হচ্ছে না মারে সম্পূর্ণ ফিট আছে বলে। চোটই ওর এ বারের উইম্বলডন জয়ের পথে বাধা হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্লে কোর্টের ফর্ম ঘাসেও এগিয়ে রাখছে রাফাকে
তুলনায় ফেডেরারের উইম্বলডনের প্রস্তুতিটা মন্দ হয়নি। ঘাসের কোর্টে শরীর আর মনের দিক থেকে আরও তরতাজা হয়ে নামাটা নিশ্চিত করার জন্য গোটা ক্লে কোর্ট মরসুম বিশ্রাম নিয়েছে ফেডেরার। এখন ও আরও চনমনে, ফিট হয়ে নামতে পারবে। যেটা ৩৫ বছর বয়সি কোনও খেলোয়াড়ের জন্য দারুণ ব্যাপার।
মারে আর ফেডেরারের সঙ্গে বাকি দু’জনের কথাও বলতে হবে। মানে নাদাল আর জকোভিচের কথা বলছি। নাদালকে এখন দুরন্ত ফিট লাগছে। টুর্নামেন্ট জেতার বড় সুযোগ রয়েছে ওর। সেমিফাইনালে মারের বিরুদ্ধে খেলতে হতে পারে নাদালকে। তবে মনে হয় না এখন অত দূরের কথা নাদাল ভাবছে। উইম্বলডনে নাদালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ও শুরুটা করে ধীরে। অনেক সময় টুর্নামেন্টের গোড়ার দিকেই ও ছিটকে গিয়েছে। যদি প্রথম সপ্তাহটা নাদাল টিকে যেতে পারে তা হলে ও ছন্দটা পেয়ে যাবে। সেটা কিন্তু ওকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।
ক্লে কোর্টের রাজা হলেও ঘাসের কোর্টে নাদাল খুব খারাপ মোটেও খেলে না। প্রত্যেকটা ম্যাচে উন্নতি করে। যত সময় এগোয়, তত স্বচ্ছন্দ দেখাতে শুরু করে ওকে।
জকোভিচের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। ওরও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দ্রুত ছন্দে আসা। প্রথম রাউন্ড পার করা। নতুন কোচ আর নতুন টিম নিয়ে জকোভিচ কত দূর এগোতে পারে, আগামী কয়েক দিন সেটাও দেখার অপেক্ষায় আছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy