রাঁচীর ২২ গজের ওপর থেকে পর্দা উঠতেই উত্তেজনার পারদ বাড়তে শুরু করে দিল। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার থেকে সে দেশের প্রচারমাধ্যমের প্রতিনিধি— বাইশ গজ নিয়ে অসন্তোষ সব জায়গায়।
মোদ্দা কথায়, অস্ট্রেলীয় শিবির মনে করছে এটাও একেবারে ‘টেলরমেড উইকেট’। পুণেতে তাও যাও বা একটু বাউন্স ছিল, এখানে তাও নেই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে গেল এই খবর, ভারত ফের খোঁয়াড় তৈরি করে টেস্ট জিততে চাইছে। তাদের প্রশ্ন, হচ্ছেটা কী?
এমনিতেই নেথান লায়নের স্পিনিং ফিঙ্গারে চোট। তার ওপর উইকেট থেকে বাউন্স না পাওয়া মানে, তাঁর প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া। প্যাট কামিন্স, জস হেজেলউডরাও কোমরের উপর বল তুলতে পারবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে। মঙ্গলবার মূল মাঠের বাইরে প্র্যাকটিস মাঠের উইকেটেই এই দুই পেসার বুকের উচ্চতাতেও বল তুলতে পারলেন না। মূল উইকেটের দিকে তাকিয়ে তাঁরা নিজেদের মধ্যে যে ভাবে হাত-পা নেড়ে কথাবার্তা বলছিলেন, তাতে বেশ উত্তেজিতই মনে হচ্ছিল। পরে এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক বলে গেলেন, ‘‘উইকেট দেখে ওরা ব্যাপক চটেছে। চটারই কথা। বাউন্স, গতি কিছুই নেই। এটা তো অশ্বিন-জাডেজাদের জন্য তৈরি পিচ। ওরা বলে বলে এই পিচে উইকেট পাবে আর আমাদের ভরসা শুধু ও’কিফ।’’ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে এ দিন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস বলেন, ‘‘উইকেট দেখে বোঝা যাচ্ছে না ঠিক কী হবে। বল ঘুরবে তো বটেই। কিন্তু তেমন বাউন্স পাওয়া যাবে না, যা অন্য জায়গায় যা পাওয়া যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy