তারিফ কুড়োলেন ওয়ার্নার। ফাইল ছবি।
তৃতীয় আম্পায়ারের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয় স্টাম্প মাইক। ক্রিকেট মাঠে দু’দিকের মাঝের উইকেটে থাকে মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা। সেই মাইক্রোফোনকেই অন্যকাজে ব্যবহার করলেন ডেভিড ওয়ার্নার। বার্তা পাঠালেন গল স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে।
গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ঘটনা। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দ্বিমুখ করুণারত্নে আউট হলে ব্যাট করতে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। সে সময় শ্রীলঙ্কার রান ছিল ২ উইকেটে ১৬৪। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের দ্রুত আউট করতে না পেরে কিছুটা হতাশ ছিলেন অজি ক্রিকেটাররা। ম্যাথুজ নামার পর উইকেটে গার্ড নিতে গেলে সমস্যায় পড়েন। ২২ গজের সোজাসুজি সাইট স্ক্রিনের উপর প্রেস বক্সে তখন দাঁড়িয়ে ছিলেন এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক। উজ্জ্বল হলুদ রঙের জমা পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। গার্ড নিয়ে গিয়ে প্রেস বক্সের দিকে চোখ যায় ম্যাথুজের। সামনে উজ্জ্বল হলুদ রঙের জামার জন্য তাঁর সমস্যা হচ্ছিল।
আম্পায়ারদের সমস্যার কথা জানিয়ে উইকেট থেকে সরে দাঁড়ান ম্যাথুজ। আম্পায়াররাও বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন। সাধারণত গ্যালারিতে ব্যাটারের সোজাসুজি কেউ চলে এলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাইট স্ক্রিনের আশপাশের অংশে থাকা দর্শকরা বেশি নড়চড়া করলেও ব্যাট করতে সমস্যা হয় ব্যাটারদের। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। প্রেস বক্সের মধ্যে থাকা এক জন সাংবাদিককে মাঠের ভিতর থেকে কী ভাবে সরে যেতে বলবেন, তাও বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা।
সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে এগিয়ে আসেন ওয়ার্নার। স্টাম্প মাইকের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘সম্প্রচারকারীদের অনুরোধ করছি, আপনারা কি দয়া করে জিওফ লেমনকে বসতে বলবেন। ওঁর উজ্জ্বল হলুদ রঙের জামা সমস্যা তৈরি করছে। ব্যাটার বিরক্ত হচ্ছে ওঁর জন্য।’’
ওয়ার্নারের অনুরোধ শোনা যায় টেলিভিশনে। প্রেস বক্সে থাকা সাংবাদিকরাও শুনতে পান। ওয়ার্নারের অনুরোধ শুনে নিজেই আসনে বসে পড়েন ওই অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক। সমস্যা মিটলে আবার শুরু হয় খেলা। এ ভাবে সমস্যার সমাধান করে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার। তাঁর স্টাম্প মাইক ব্যবহারের বু্দ্ধির তারিফ করেছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy