গ্যালারির একটা বড় অংশ ফাঁকা। ছবি: সংগৃহীত
এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই দর্শকসংখ্যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে গ্যালারি ছিল ফাঁকা। মনে করা হয়েছিল, ভারত মাঠে নামলে গ্যালারি ভরে যাবে। কিন্তু রবিবার চেন্নাইয়ের স্টেডিয়ামেও দেখা গেল সেই ছবি। আমদাবাদের থেকে বেশি দর্শক থাকলেও মাঠ ভরল না। ভারতের মাটিতে ভারতের ম্যাচে এই দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না।
চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে ৫০ হাজার দর্শক ধরে। মাঠে সাধারণত আসনের রং হলুদ ও নীল। কয়েকটি স্ট্যান্ডে অনেক আসন খালি দেখা যাচ্ছে। শুধু খেলা শুরুর আগে নয়, খেলা শুরুর ১০ ওভার পরেও একই ছবি। হলুদ রঙের আসনগুলির অনেকটাই ফাঁকা। নীল রঙের আসনেও অনেক জায়গায় দর্শক নেই। বিশেষ করে উপরের দিকের স্ট্যান্ডগুলিতে অনেক আসন ফাঁকা রয়েছে। ভারতের ম্যাচ চলাকালীন এই ছবি খুব একটা দেখা যায় না।
ভারত যে মাঠে খেলতে নামে সেখানে সাধারণত কোনও আসন ফাঁকা থাকে না। তা হলে এ বার কেন এই ছবি দেখা যাচ্ছে? আসন ফাঁকা থাকার কথা উঠে এসেছে ধারাভাষ্যকারদের আলোচনাতেও। রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘‘প্রচণ্ডে গরমে হয়তো এখন অনেকে আসেননি। রোদের তেজ একটু কমলে ভিড় আরও বাড়বে।’’ কিন্তু সেই যুক্তিও ধোপে টেকে না। কারণ, চেন্নাইয়ে সব সময়ই দুপুরে গরম ও আর্দ্রতা থাকে। এই পরিবেশেই ভারতীয় সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছেন। তা হলে এ বার কী হল?
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে দর্শক না হওয়ায় অনেকে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের মাঠে ক্রিকেটের আগ্রহ কমেছে। ফাঁকা মাঠই তার উদাহরণ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের টিকিট বিক্রির পদ্ধতি নিয়েও। বিশ্বকাপের আগে টিকিট কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দর্শকেরা। বেশির ভাগ ম্যাচে দেখিয়েছে টিকিট ১০০ শতাংশ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তা হলে সেই সব টিকিট গেল কোথায়? দর্শক কেন মাঠ ভরাচ্ছেন না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy