(বাঁ দিকে) তামিম এবং শাকিব চোটের জন্য আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি। ছবি: টুইটার।
শাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের মতো দুই ক্রিকেটার খেলেননি। তা-ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে এসেছে রেকর্ড রানে জয়। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস বলছেন, শাকিব বা তামিমের অভাব নাকি অনুভবই করেননি তিনি।
জাতীয় দলের দুই নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই খেলেছে দল। অথচ তাঁদের অভাব নাকি অনুভবই করেনি। আফগানদের ৫৪৬ রানে হারানোর পর এমনই দাবি করেছেন অস্থায়ী অধিনায়ক লিটন। তিনি বলেছেন, ‘‘তেমন কোনও পার্থক্য বুঝতে পারিনি। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা জয় পেয়েছিলাম। সেই ম্যাচেও তামিম ভাই এবং শাকিব ভাই খেলেনি। আমরা তরুণ দল নিয়ে বিদেশের মাটিতেও জিতেছি। বাইরে জেতার পর বুঝেছিলাম, কঠিন পরিশ্রম করলে আমরা ফল পাব। এখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য অনেক বেশি মরিয়া।’’
লিটন বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারেরা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লড়াই করার জন্য তৈরি। শাকিব, তামিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপর নির্ভরতা কমাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পক্ষে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন তিনি। লিটন বলেছেন, ‘‘দু’তিন বছর পর হয়তো আমরা তিন-চার জন সিনিয়র ক্রিকেটারকে আর পাব না। তাই তাদের ছাড়া খেলা আমাদের রপ্ত করতে হবে। কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে হবে। হঠাৎ কেউ অবসর নিলে যাতে সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শাকিব ভাই এবং তামিম ভাই খেলতে পারলে অবশ্যই ভাল হত। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই যে ওরা না খেললে আমরা লড়াই করতে পারব না। আমাদের ব্যাটিংয়ের শক্তি বেড়েছে। তরুণ ক্রিকেটারেরা উঠে আসছে। আমরা ক্রমশ উন্নতি করছি।’’ উল্লেখ্য, শাকিব এবং তামিম চোটের জন্য আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারেননি।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয়ের জন্য সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন লিটন। নতুন ক্রিকেটারেরা যে ভাবে দায়িত্ব নিয়ে পারফরম্যান্স করছেন, তাতে খুশি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy