অনুতপ্ত: ন্যায্য পেনাল্টি দেননি মেনে নিলেন দামির। ফাইল চিত্র
রোমে খলনায়ক এখন একজনই। স্লোভেনিয়ার রেফারি দামির স্কোমিয়া।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে এই দামিরই ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ফুটবল বিশ্লেষকরা স্বীকার করেছেন, তাঁর ভুলেই দু’টি পেনাল্টি পায়নি ইতালির ক্লাবটি। লাল কার্ড দেখানো হয়নি লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিউসকে। রোমার স্তেফান আল সারউইকে পা টেনে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া পরেও। রেফারির সিদ্ধান্ত স্বপক্ষে গেলে কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হয়তো রোমাই খেলত।
স্বভাবতই এসবে সবচেয়ে ক্ষুব্ধ রোমা ক্লাব কর্তারা। তাদের প্রেসিডেন্ট জিম পালোত্তা থেকে শুরু করে স্পোর্টিং ডিরেক্টর মাঞ্চি— কার্যত সবাই ‘ভিএআর’-এর দাবিতে সরব হয়েছেন। উয়েফাও বিযয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে বলে খবর।
এদিকে রেফারি দামির নাকি ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে তাঁর সহকারীদের সঙ্গে ম্যাচের বিতর্কিত অংশগুলির ভিডিয়ো দেখার পরে তিনি নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেন। এমনকী সহকারীদের বলেন, ‘‘আমরা সবকিছু গুলিয়ে ফেলেছিলাম।’’
স্লোভেনিয়ার এই রেফারি কিন্তু ফিফার ‘অভিজাত ম্যাচ পরিচালকদের’ একজন। শুধু তাই নয় রাশিয়াতে প্রথম বার তাঁকে বিশ্বকাপের ম্যাচে রেফারির ভূমিকায় দেখা যাবে। অবশ্য অতীতেও তিনি বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। বলা হয়, যে কোনও ম্যাচেই তিনি অন্তত চার জনকে হলুদ কার্ড দেখাবেনই। রুশ লিগে একবার একটি ম্যাচে তিনি দশ জনকেও হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। একটি সূত্রের খবর, অলিম্পিকো স্টেডিয়ামের ঘটনার পরে বিশ্বকাপে সম্ভবত তাঁতে গুরুত্বপূর্ণ কোনও ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। পরিস্থিতি অন্তত যাচ্ছে সেদিকেই।
এদিকে সুর নরম করেও এদিন রোমা প্রেসিডেন্ট পালোত্তা আবার সেই ‘ভিএআর’ প্রসঙ্গই তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার জন্যে লিভারপুলকে অভিনন্দন। কিন্তু ‘ভিএআর’ এখনই ভীষণ রকম দরকার ফুটবলে। বিশেষ করে ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টে। রোমে আমরা ভুগেছি। হতে পারে কিয়েভে ফাইনালে লিভারপুল বা রিয়াল মাদ্রিদ ভুগবে। ‘ভিএআর’ ছাড়া এক একসময় ফুটবল খেলাটাই প্রহসনে পরিণত হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও
সেটাই হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy