প্রস্তুতি: টাঙ্গিতে অনুশীলনে যাওয়ার পথে সনি। নিজস্ব চিত্র
মহানদী পেরিয়ে হাইওয়ে দিয়ে কুড়ি কিলোমিটার এগোলেই টাঙ্গিতে ড্রিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস। কটকের দাবদাহে যেন এক টুকরো মরুদ্যান!
২০১৩ সালে মেয়েদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এই মাঠে একটা ম্যাচ খেলেছিল। আর. অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা ও সুরেশ রায়না-দের উদ্বোধন করে যাওয়া সেই মাঠেই রবিবার সকালে ফেডারেশন কাপ জয়ের শপথ নিলেন সনি নর্দে, কাতসুমি ইউসা-রা!
রবিবার সকালে মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন বাঁশি বাজিয়ে প্র্যাকটিস শেষ করে দেওয়ার পরেও মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না ফুটবলাররা। শিল্টন পাল, দেবজিৎ মজুমদার-দের নিয়ে পেনাল্টি অনুশীলন করছিলেন কাতসুমি, জেজে-রা। আর মাঠের বাইরে থেকে কোচ চিৎকার করে বলছিলেন, বেশি প্র্যাকটিস করার দরকার নেই। ভুলে যেও না কাল কিন্তু আমাদের ম্যাচ। ফুটবলারদের তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
আরও পড়ুন: ড্র দিয়ে ফেডকাপ অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল
আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা পুরো দলটাকেই যে তাতিয়ে দিয়েছে, তা সনি-কে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্র্যাকটিস মাঠে কর্নার ফ্ল্যাগের রং লাল-হলুদ দেখেই ক্ষেপে গেলেন তিনি। চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘‘আমরা কি ইস্টবেঙ্গলের মাঠে প্র্যাকটিস করতে এসেছি নাকি?’’
প্র্যাকটিসের পরেও ছবিটা বদলায়নি। কোচ সঞ্জয় সেন ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসার পরে সতীর্থদের উজ্জীবিত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন সনি-কাতসুমি। জানা গেল, সনি সতীর্থদের বলেছেন, আমাদের এখন ফেডারেশন কাপ জেতাটাই লক্ষ্য হবে। আর কাতসুমি বলেছেন, টানা দু’বছর অল্পের জন্য আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি আমরা। এখন ফেডারেশন কাপ এই মরসুমে ট্রফি জেতার শেষ সুযোগ।
সনি-দের ‘পেপ টক’-এ ফুটবলাররা চনমনে হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কোচের উদ্বেগ তার পরেও কমছে না! সঞ্জয় বললেন, ‘‘যে কোনও টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই কঠিন। আমি এখনও ভুলিনি দু’বছর আগে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ড্র করা ম্যাচ। এখানে তার পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই ফুটবলারদেরও সতর্ক করে দিয়েছি।’’ সঙ্গে বলেন ‘‘ওরা কখন কী করবে, বোঝা যায় না। কোনও ম্যাচে সাত গোল হজম করল তো পরের ম্যাচেই আবার পাঁচ গোলে জিতল। ওরা স্ট্র্যাটেজি বদলে প্রতিপক্ষকে চমকে দেয়,’’ বলছেন সঞ্জয়।
মোহনবাগান বনাম ডিএসকে শিবাজিয়ান্স (সন্ধে ৭.০০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy