প্রতীকী ছবি।
গভীর সঙ্কটে ভারতীয় ফুটবল। ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে ফিফার নির্বাসনের! এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করানো থেকে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে জটিলতা বেড়েই চলেছে। আর তাই শাস্তির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন পরিচালনা করছে তিন সদস্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)। ফিফা ও এএফসির প্রতিনিধি দল গত মাসেই নয়াদিল্লি এসেছিল ভারতীয় ফুটবল কী ভাবে চলছে, তা খতিয়ে দেখতে। দফায় দফায় বৈঠকের পরে তারা সিওএকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফেডারেশনের নতুন গঠনতন্ত্রের অনুমোদন নিতে হবে সাধারণ সমিতি থেকে। সমস্যা হচ্ছে, সিওএ যে নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়া তৈরি করেছে, তাতে একাধিক বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সংস্থাগুলি। যেমন ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী সভাপতি তিন (টার্ম) বারের বেশি থাকতে পারবেন না। কোষাধ্যক্ষের ক্ষেত্রে তা দু’বার রয়েছে। সহ-সভাপতি বা অন্যান্য পদাধিকারীদের ক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা ধার্য করা নেই। সিওএ-র প্রস্তাবিত নতুন গঠনতন্ত্রে সহ-সভাপতির মেয়াদের ক্ষেত্রেও তিন বার (টার্ম) ধার্য করা হয়েছে। তা নিয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে রাজ্য সংস্থাগুলির। ১৫ জুনের মধ্যে নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়া সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার কথা সিওএ-র। তার পরে তা অনুমোদন নেওয়ার জন্য পেশ করা হবে সাধারণ সমিতির কাছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুপ্রিম কোর্টে নতুন গঠনতন্ত্রের খসড়া সিওএ-র তরফে জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানানোর সম্ভাবনা প্রবল রাজ্য সংস্থাগুলির। এবং তারা দ্বারস্থ হবে আদালতের। এই পরিস্থিতিতে ফের শুরু হতে পারে শুনানি। সে ক্ষেত্রে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন গঠনতন্ত্রের অনুমোদন করিয়ে নেওয়া রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়বে সিওএ-র পক্ষে। ফলে ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচন হওয়ারআশাও ক্ষীণ।
অনেকেরই আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে ভারতকে নির্বাসিত করতে পারে বিশ্বফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। তার ফল হবে মারাত্মক। সুনীল ছেত্রীরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবেন না। ভারত কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনও করতে পারবে না। ভারতের রেফারিরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন না। ঘরোয়া প্রতিযোগিতা চললেও নতুন কোনও বিদেশি ফুটবলার সই করাতে পারবে না ক্লাবগুলি। এখানেই শেষ নয়। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপও ভারত থেকে স্থানান্তরিত হবে অন্য দেশে। সিওএ যদিও আশাবাদী, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র নিয়ে কেউ আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy