ইগর স্তিমাচ। —ফাইল চিত্র।
ইগর স্তিমাচ নিজে জানিয়েছেন, ৬ জুন কলকাতায় কুয়েতের কাছে হারলেই পদত্যাগ করবেন তিনি। কারণ, কুয়েতের কাছে হারলেই ভারতের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। সে তো গেল ভারতের ফুটবল কোচের কথা, কিন্তু ফুটবল ফেডারেশন কী ভাবছে? তাদের হাত-পা বাঁধা। স্তিমাচের চুক্তি শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)-কে। নইলে অনেক বেশি টাকা খরচ হবে তাদের।
২০১৯ সালে দু’বছরের জন্য স্তিমাচকে প্রথম বার কোচ করে এনেছিল এআইএফএফ। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর সঙ্গে আরও দু’বছরের চুক্তি করা হয়। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সেই চুক্তি ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে স্তিমাচের সঙ্গে আরও একটি চুক্তি হয়। ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সেই চুক্তি করা হয়। কিন্তু সেই চুক্তিতে ফেডারেশনের ৯.১ ধারা ছিল না। ফেডারেশন সূত্রে খবর, স্তিমাচের আগের সব চুক্তিতে এই ধারা ছিল। এই ধারা থাকলে ফেডারেশন চাইলে তিন মাসের নোটিস দিয়ে স্তিমাচকে যে কোনও সময় সরিয়ে দিতে পারত। কিন্তু বর্তমান চুক্তিতে ৯.১ ধারা না থাকায় নোটিস দিয়ে স্তিমাচকে সরানো যাবে না।
এই পরিস্থিতিতে চুক্তি শেষ হওয়ার আগে স্তিমাচকে সরাতে হলে অনেক বেশি টাকা দিতে হবে তাঁকে। স্তিমাচ এখন প্রতি মাসে ২৫ লক্ষ টাকা বেতন পান। অর্থাৎ, বছরে ৩ কোটি টাকা দিতে হয় তাঁকে। কিন্তু যদি চুক্তি শেষ হওয়ার আগে স্তিমাচকে সরিয়ে দিতে হয় তা হলে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিতে হবে তাঁকে, যা বর্তমান বেতনের দ্বিগুণ। সেটা করতে চাইছে না ফেডারেশন।
এআইএফএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে বোর্ড চাইছে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। জুনের ৬ তারিখ যুবভারতীতে কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ১১ জুন কাতারের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ রয়েছে। কুয়েতের বিরুদ্ধে জিততে পারলে ভারতের পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা থাকবে। এই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী স্তিমাচ। সেই ম্যাচের আগে তিন সপ্তাহের জাতীয় শিবির করতে চাইছেন তিনি। স্তিমাচ জানিয়েছেন, ৬ তারিখে হেরে গেলে আর ১১ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। ম্যাচ শেষেই পদত্যাগ করবেন। তাই আপাতত স্তিমাচের কোর্টেই বল রাখতে চাইছে ফেডারেশন। নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy