এমিলিয়ানো মার্তিনেস। —ফাইল চিত্র।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার নিয়ে প্রতি বছরই আগ্রহ থাকে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। গত বছর লিয়োনেল মেসিরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই আগ্রহ এ বার আরও বেশি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কি পাবেন বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি? বিশ্বকাপ সেরা গোলরক্ষক হওয়া এমানুয়েল মার্তিনেসকে নিয়েও আগ্রহ কম নেই।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের দৌড়ে কারা আছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সম্ভাব্য বর্ষসেরা গোলরক্ষকদের নামের তালিকা সামনে এসেছে। ফিফার প্রকাশিত তালিকা দেখে হতাশ হতে পারেন ফুটবলপ্রেমীরা। কারণ প্রথমেই রয়েছে মরক্কো এবং সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর নাম। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশটির সেমিফাইনালে ওঠার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বুনুর। তালিকার দ্বিতীয় নাম বেলজিয়াম এবং রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। তৃতীয় স্থানে যাঁর নাম রয়েছে, তিনি নিজের জাতীয় দলের প্রথম একাদশেই নিয়মিত নন। ব্রাজিল এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটির গোলরক্ষক এডারসন রয়েছেন দৌড়ের তৃতীয় স্থানে।
তিন জনের তালিকায় অনুপস্থিত মেসির প্রিয় দিবুর নাম। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকেরই জায়গা হয়নি! ফিফার প্রকাশিত এই তালিকা দেখে বিস্মিত ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ। নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিশ্বকাপে সোনার দস্তানা জেতা গোলরক্ষক কেন বর্ষসেরার দৌড়ে নেই? শুধু আন্তর্জাতিক ম্যাচের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ হয় পেশাদার লিগের পারফরম্যান্সও। তাতেই সম্ভবত পিছিয়ে পড়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। ইংল্যান্ডের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলেন মার্তিনেস। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁর দল তেমন শক্তিশালী নয়। অধিকাংশ ম্যাচেই গোল খেতে হয় তাঁকে। তাতেই সম্ভবত সেরার লড়াই থেকে পিছিয়ে পড়েছেন মার্তিনেজ।
আরও একটি বিষয়ের কথাও বলছেন অনেক ফুটবলপ্রেমী। বিশ্বকাপে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার নেওয়ার পর মার্তিনেসের সেই বিতর্কিত এবং অশ্লীল ভঙ্গি। যে কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনাও মার্তিনেসের বিপক্ষে যেতে পারে। কারণ যাই হোক, আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী গোলরক্ষকের ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়া হচ্ছে না। চূড়ান্ত তালিকায় থাকা তিন জনের মধ্যেই কেউ এই পুরস্কার পাবেন।
পুরুষদের পাশাপাশি সেরা তিন মহিলা গোলরক্ষকের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে ফিফা। তাঁরা হলেন অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ড, স্পেন এবং বার্সেলোনার গোলরক্ষক কাতালিনা কোল এবং ইংল্যান্ড এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy