নক্ষত্র মহড়া। তৈরি হচ্ছেন হিউম, সুনীল।—নিজস্ব চিত্র
আটলেটিকো দে কলকাতা ও মুম্বই সিটি এফসির প্রথম সেমিফাইনাল আইএসএলের সেরা ম্যাচগুলোর মধ্যে একটা ছিল। পাঁচ গোল হয়েছে মানেই বোঝা যাচ্ছে ম্যাচে কতটা লড়াই হয়েছে। তার সঙ্গে ট্যাকটিক্স আর ব্যক্তিগত দক্ষতার মিশেল তো ছিলই।
রক্ষণ আঁটসাঁট রেখেও তিন গোল করেছে এটিকে। যার মধ্যে দুটো গোল সেই অদমনীয় ইয়ান হিউমের। কিন্তু এই মরসুমে এটিকের প্রথম ভারতীয় স্কোরার লালরিন্দিকা রালতের গোলের পরেই খেলাটা ধরতে থাকে কলকাতা। দিয়েগো ফোরলানের লাল কার্ড অবশ্য মুম্বইয়ের জন্য বড় ধাক্কা। ফোরলান না থাকা কলকাতাকে মানসিক ভাবে এগিয়ে রাখবে। কিন্তু তাতেও মুম্বই দলে আরও আক্রমণাত্মক অস্ত্র আছে। সেটা যেন কলকাতা ভুলে না যায়। ফোরলানের অনুপস্থিতিতে এটিকে আত্মতুষ্ট হয়ে পড়লে নিজেদের জন্যই বিপদ ডেকে আনবে।
মুম্বই আক্রমণে সনি নর্ডিও আছে। ও এমন এক জন ফুটবলার যে ডিফেন্ডারদের টানতে পারে। একই সঙ্গে আমার মনে হয়, ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর আরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ওর জন্য খুব জরুরি এ রকম একটা ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া। মনে রাখতে হবে, সুনীল একজন ম্যাচ উইনার আর যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। এটিকের মাথায় রাখতে হবে যাতে ডেডবল থেকে গোল না খায়। কোনও কোচই চায় না তার দল এ রকম ভাবে গোল খাক আর সেটা জোসে মলিনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই একটা জায়গায় কলকাতাকে সতর্ক থাকতে হবে।
এটা খুব চাপের ম্যাচ আর মুম্বইকে সেই চাপের থেকে নিজেদের যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্লেয়াররা যদি খুব বেশি ভাবতে বসে যায় তা হলে খেলায় তার প্রভাব পড়বে। আটলেটিকোর প্রথম একাদশে কোনও বদলের কিছু দেখতে পাচ্ছি না। হিসেব মতোই রক্ষণাত্মক ভাবে ওরা হয়তো শুরু করবে। ফরোয়ার্ডে বিদেশি প্লেয়ারদের উপর নির্ভর করবে ম্যাচ বের করতে। দলে আক্রমণাত্মক মশলা এত ভাল বলেই ওরা এত ভয়ঙ্কর। হিউম আর পস্টিগা একসঙ্গে পুরো ম্যাজিক। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সব কিছুর ফয়সালা করে দিতে পারে।
এটিকের লক্ষ্য হবে মুম্বইকে যতটা সম্ভব আটকে রাখা। যত বেশি সময় সেটা করতে পারবে তত বেশি সুযোগ বাড়বে ম্যাচটা পকেটে পোরার।
দুর্দান্ত আর একটা জমজমাট ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করছি ভাল দলটাই জিতবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy