অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গল। -ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল ৩ (আনসেলেম, রবিন সিংহ, বিকাশ জাইরু)
মিনার্ভা পঞ্জাব ১ (কৃষ্ণা পণ্ডিত)
তিন গোলে জিতেও তিনের উপরে ওঠা হল না ইস্টবেঙ্গলের। যদিও হাতে আরও একটি ম্যাচ রয়েছে। গোল পার্থক্যও এই মুহূর্তে মোহনবাগানের সঙ্গে একই। এই অবস্থায় দু’নম্বরে আই লিগ শেষ করতে হলে শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলে জিততে তো হবেই সঙ্গে হারতে হবে মোহনবাগানকেও। সে সব না ভেবে অবশ্য শেষ ম্যাচে জিতেই ফেডারেশন কাপের প্রস্তুতিতে নামতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে আদতে কোনও যে লাভ নেই তা হয়তো এতদিনে টের পেয়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। যে কারণে সমর্থকদের চাপের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি কোচও বদলে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
আরও খবর: কোন পথে আসতে পারে মোহনবাগানের আই লিগ
নতুন কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় একদিনের জন্য এসে বিদায় নিয়েছেন। তার পর এসেছেন রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কোচিংয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মিনার্ভাকে ১-৩ গোলে হারিয়ে দিয়ে শেষটা ভাল করতে চাইবেন নতুন কোচেরা। এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর ২৫ মিনিটের মধ্যেই অবিনাশ রুইদাসকে তুলে বিকাশ জাইরুকে নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ২৯ মিনিটেই মিনার্ভার নিশ্চিত গোলের সুযোগ প্রতিহত করে দেন গুরবিন্দর সিংহ। গোল লাইন থেকে কর্নারের বিনিময়ে সেই বল বাইরে পাঠান তিনি। প্রাণ ফিরে পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ওয়েডসন আনসেলমে। ৩১ মিনিটে এগিয়ে গিয়ে ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে হ্যান্ড বল করে ইস্টবেঙ্গলকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন মঈনুদ্দিন। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি থেকেই বাজিমাত রবিন সিংহর। লিগ শেষে যেন জমে গেল ওয়েডসন-রবিন জুটি। যদি ফেডারেশন কাপে কাজে লাগে। এর পর ছিল গোল মিসের পালা। কখনও ওয়েডসন তো কখনও রবিন সিংহ। এতটাই মিল যে পাল্লা দিয়ে গোল মিসও করলেন দু’জনে। সুয়োগ এসেছিল মিনার্ভারও কিন্তু কাজে লাগাতে লেগে গেল ৯৪ মিনিট। তার আগেই ৩-০ করে দিয়েছিলেন বিকাশ জাইরু। ৩-১ গোলেই শেষ হয়ে যায় এদিনের খেলা। ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকল ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy