চলতি আইপিএলে কয়েকটা অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখা গেল। সে দিন পুণেকে যে ভাবে প্রায় একাই জেতাল বেন স্টোকস, তাকে অসাধারণ ছাড়া আর কীই বা বলা যাবে? তবে ঋষভ পন্থ, রাহুল ত্রিপাঠী, সঞ্জু স্যামসনদের কথা না বললে অন্যায় হবে।
স্যামসন জাত ক্রিকেটার। রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে যখন পড়েছে, তখন নিশ্চয়ই ব্যাটিংয়ের সময় মাথাটা সঠিক জায়গায় রাখাটা রপ্ত করে নেবে ও। রাহুল ত্রিপাঠীও দুর্দান্ত। কেকেআরের বিরুদ্ধে ওর ইনিংসটা বোধহয় আইপিএলের অন্যতম সেরা। যত রান করছে, তত আত্মবিশ্বাস বাড়ছে ছেলেটার।
তবে দেশীয় এই তরুণদের মধ্যে সেরা অবশ্যই ঋষভ পন্থ। বুকের ভিতর আগুন রয়েছে, এমন তরুণ যে কোনও ভাল দলেরই সম্পদ। ঋষভ সে রকমই একজন। ভিতরের আগুনটা জ্বলে উঠলে যে একাই ম্যাচ জিতিয়ে পারে। দিল্লি পরপর দুটো অসাধারণ জয় পেল। তবে গুজরাতের বিরুদ্ধে জয়টাই সেরা। স্যামসনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ঠিকই, তবে ঋষভের ৯৭ রানটা ছাড়া সাফল্যের গণ্ডিটা পেরোতেই পারত না ওরা। ওর দিনে যে ঋষভই সেরা, সেটাই প্রমাণ করে দিল। আইপিএল সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশে ঢুকে পড়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্লে অফে তাদের জায়গায় সুনিশ্চিত করে ফেললেও প্রথম চারে থাকার দৌড়ে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট ও কলকাতা নাইট রাইডার্সও ভাল ভাবে রয়েছে। খুব খারাপ না খেললে এই দুই দলই প্লে অফে যাবে। নাইটদের শেষ দু’ম্যাচে হারাটা অস্বাভাবিক নয়। লম্বা টুর্নামেন্টে এমন হতেই পারে। রবিন উথাপ্পা ও ক্রিস লিনের একসঙ্গে না থাকাটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে। পরের ম্যাচগুলোতে ওরা দু’জনেই ফিরে এলে দলটা ফের নিজেদের জায়গায় ফিরে যাবে। তবে ব্যাটসম্যান সুনীল নারাইনের ধারাবাহিকতা নেই আর। তাই ওদের কম্বিনেশন নিয়ে এ বার ভেবে দেখার সময় এসে গিয়েছে।
পুণে সুপারজায়ান্ট দলে যে মশলা আছে, সেগুলো এ বার ঠিকঠাক কাজে আসছে। এই তিন দলের প্লে অফে যাওয়া নিয়ে আমার মনে খুব একটা সন্দেহ নেই। দিল্লি ও কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব পিছন থেকে চাপ বাড়ালেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদই হয়তো শেষ চারে থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy