উইলস প্লাজার পর আল আমনাও এ বার চোটের কবলে। তবে সিরিয়ান মিডিওর হাঁটুর চোট তেমন গুরুতর নয় বলেই টিম সূত্রের খবর।
প্লাজা শনিবার বল পায়ে নামলেও বেশিক্ষণ গোয়ার তিলক ময়দানে অনুশীলন করতে পারেননি। সুস্থ হতে চলে যান ফিজিও গার্সিয়ার কাছে। হাঁটুতে চোট পাওয়ায় আমনাও পরে প্লাজার সঙ্গী হন। লাল-হলুদের হৃদপিন্ড আমনা বল পায়ে নিয়ে নামেনই এ দিন। প্লাজা নিয়ে কোনও আশার বাণী না শোনালেও আমনার খেলার ব্যাপারে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। বলে দিলেন, ‘‘ওর হাঁটুতে ব্যথা হওয়ায় ওকে মাঠে বল পায়ে নামাইনি। ফিজিওর কাছে পাঠিয়েছি।’’ আমনা নিজে অবশ্য বললেন, ‘‘সোমবার ম্যাচ। হাতে দু’দিন সময় আছে। মনে হচ্ছে খেলতে সমস্যা হবে না। মাঠটাও ভাল।’’
লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা খালিদ জামিলের টিমের কাছে গোয়ার মাঠে চার্চিল ব্রাদার্সের ম্যাচটি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তে প্লাজার গোলে জিতেছিল মশালবাহিনী। সে জন্যই খালিদ সতর্ক। তিনি এ দিন জোর দিয়েছিলেন কর্নার, ফ্রি কিক অনুশীলনের উপর। খালিদ বলে দিয়েছেন, ‘‘সেট পিস থেকে গোল হয় প্রচুর। আধুনিক ফুটবলে এটা যে কোনও টিমের অন্যতম অস্ত্র হতে পারে। ’’
চার্চিল লিগ টেবলের শেষে আছে। তা সত্ত্বেও তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন টিমের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার অর্ণব মন্ডল। লাল-হলুদ অঘিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘ডার্বি হারের পর আমরা ভেঙে পড়িনি। জানতাম ফিরবই। আমরা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি। চার্চিলকে ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই। ওদের দলে কালুর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। পুরো টিমটাকে ওই চালায়।’’ ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে হারানোর পরও ইস্টবেঙ্গল স্বস্তিতে নেই। মিনার্ভা পঞ্জাব এবং নেরোকা লিগ টেবলে উইলিস প্লাজাদের খুব কাছাকাছি আছে। পয়েন্ট নষ্ট করলেই তারা ইস্টবেঙ্গলকে বিপদে ফেলবে। অর্ণব বলছিলেন, ‘‘আমরা যদি সব ম্যাচ জিতি তা হলে কে পিছন থেকে আসছে দেখার প্রয়োজন হবে না। চার্চিল ম্যাচটা এ জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ইস্টবেঙ্গল জেতার পর বেশ চাঙ্গা। চার্চিল ম্যাচে তাই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ইউসা কাতসুমিরা। তবে দিল্লির ঠান্ডার পর গোয়ায় গরম খালিদদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। সেটা মানছেন লাল-হলুদ কোচও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কয়েক দিন আগে গোয়ায় চলে এসেছি আমরা। সেটা এই গরমের সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy