সৌম্যদীপ তাঁকে ম্যাচ ছাড়তে বলেছিলেন বলে অভিযোগ করেন মণিকা ফাইল চিত্র।
ম্যাচ গড়াপেটায় জাতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়কে দিল্লি হাইকোর্ট দোষী সাব্যস্ত করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল শুক্রবার। বলা হয়েছিল কড়া শাস্তি হতে পারে তাঁর। সেই ঘটনার পরে এই প্রথম কোনও সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন সৌম্যদীপ। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশই দেয়নি আদালত। সম্পূর্ণ ভুল খবর পরিবেশিত হচ্ছে।’’
সৌম্যদীপের বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল। দিল্লি হাইকোর্ট শুধু একটিই নির্দেশ দিয়েছে। সেটি হল, টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (টিটিএফআই) কাজ পরিচালনার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবে।’’
তাঁর নামে আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় টেবিল টেনিস দলের কোচ। সৌম্যদীপের কথায়, ‘‘আমার বিরুদ্ধে আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। যে কমিটি গড়া হবে সেই কমিটির রিপোর্ট পেশ করার পরে তা হাতে পেলে আমরা পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ করব। লড়াইটা মণিকা বাত্রার সঙ্গে টিটিএফআই-এর। সেখানে আমাকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
একই মন্তব্য করেছেন টেবিল টেনিসের প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তথা সৌম্যদীপের স্ত্রী পৌলমী ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলতে পারব না। তবে শুক্রবার আদালতে সৌম্যদীপকে নিয়ে একটা কথাও হয়নি। যে খবর ছড়াচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল।’’
দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্য টেবিল টেনিস সংস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন কর্মকর্তা বাংলার রবি চট্টোপাধ্যায় আবার দায় চাপিয়েছেন টেবিল টেনিস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার উপর। তিনি বলেন, ‘‘টিটিএফআই বহু বছর ধরে অনেক অনৈতিক কাজ করেছে। সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় আগেও মণিকা বাত্রাকে হারিয়েছে। তা হলে কেন সৌম্যদীপ মণিকাকে ম্যাচ ছাড়তে বলবে। যদি ও এটা করেও থাকে তা হলে এর পিছনে ফেডারেশনের মদত রয়েছে। সৌম্যদীপকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy