রহিম নবি, মেহরাজউদ্দিন, ইসফাক আহমেদ বা নির্মল ছেত্রী—গত বছর মহমেডানে খেলা ফুটবলারদের সামনে এখন নিকষ অন্ধকার।
মরসুম শেষ। অথচ কোনও ক্লাবের প্রস্তাব নেই নবিদের কাছে। মহমেডান দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাওয়ায় পর কাউকেই রাখছে না বলে সূত্রের খবর। স্বভাবতই হন্যে হয়ে নতুন ক্লাব খুঁজছেন পাইতে, মণীশ মাথানিরা। শুধু দেশি ফুটবলারই নয়, তীব্র সমস্যায় পড়েছেন মহমেডানে খেলা বিদেশিরাও। পেন, লুসিয়ানো, জোসিমাররাও এই মুহূর্তে কোনও ক্লাবের ডাক পাননি। লুসিয়ানো, জোসিমার, তারো দেশে ফিরে গেছেন। তবে মোহনবাগানে নাকি ট্রায়াল দিতে আসার কথা রয়েছে লুসিয়ানোর। পেন কলকাতায় থাকলেও এখনও কোনও ক্লাবের জার্সি নিশ্চিত করতে পারেননি। হতাশ গলায় শুধু বললেন, “আমি এখনও জানি না কী হবে। কিন্তু এখনও আস্থা হারায়নি।”
নবি, মণীশ, নির্মলদের সঙ্গে আইএমজিআরের আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু ইসফাক, লুই ব্যারেটো বা মেহরাজদের চুক্তি এই জুনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর পর কী করবেন ইসফাকরা? “জানি না কী হবে! ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে কথা বলেছি। কোথাও তো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আইএমজিআর কী করবে জানি না। আইএসএল হলেও আমাদের ভবিষ্যৎ কী? আইএমজিআর কি চুক্তি বাড়াবে? কিছুই বুঝতে পারছি না। অনিশ্চয়তার উপর দাঁড়িয়ে আছি,” বলছিলেন ইসফাক। আইএমজিআরের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি থাকলেও স্বস্তিতে নেই নবি-নির্মলরা। নবি বলছিলেন, “আইএসএল খেললেও, ক্লাব না পেলে তো সমস্যা হবেই। গোটা বছর কী করব তবে? আমার কাছে কোনও ক্লাবের প্রস্তাবও নেই।” নির্মল আবার বললেন, “ওয়াহিংডো, মুম্বই এফসি ছাড়াও গোয়া এবং কলকাতার ক্লাবে কথা চলছে। তবে কোথাও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।”
বিদেশি বা আইএমজিআর ফুটবলার ছাড়াও মহমেডানের বাকি ফুটবলাররাও তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। অসীম বিশ্বাস, পাইতে, ইজরায়েল গুরুংদের অবস্থাও তাই তথৈবচ। পাইতে বলছিলেন, “সালগাওকরের সঙ্গে কথা হয়েছে ঠিকই। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে কে জানে! আদৌ নতুন মরসুমে আই লিগের কোনও দলে সই করতে পারব তো?” একই পরিস্থিতি বাকিদেরও।
এ বছর ইয়ুথ ডেভলপমেন্টের ত্রিশ শতাংশ টাকা মূল বাজেট থেকে ক্লাবগুলোকে সরিয়ে রাখতে হচ্ছে। তার ওপর আইকন ফুটবলার নেওয়ার নতুন শর্ত দিয়েছে ফেডারেশন। সব মিলিয়ে দল গড়তে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছে আই লিগ খেলা ক্লাবের কর্তারা। আর যাঁর তীব্র প্রভাব পড়েছে ফুটবলারদের ওপর। এখন দেখার নির্মল, নবি, ইসফাক, মেহরাজদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররা শেষ পর্যন্ত আই লিগ খেলতে পারেন কি না!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy