Advertisement
০৮ মে ২০২৪

কপ্টারে বাঘ আসবে বক্সায়

কপ্টারে করে বাঘ আসবে বক্সায়। অসম থেকে। একটি-দু’টি নয়, মোট এক ডজন। রেল বা সড়কপথে বাঘ আনার ঝুঁকি অনেক। তাই মালবাহী কপ্টারে করেই তাদের বক্সায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।

অনির্বাণ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

কপ্টারে করে বাঘ আসবে বক্সায়। অসম থেকে। একটি-দু’টি নয়, মোট এক ডজন। রেল বা সড়কপথে বাঘ আনার ঝুঁকি অনেক। তাই মালবাহী কপ্টারে করেই তাদের বক্সায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।

এর আগে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় বিদেশ থেকে ব্যাঘ্রশাবক এসেছিল। বনকর্তাদের দাবি, বাচ্চা হলে সহজেই বিমানে আনা সম্ভব। কিন্তু এতোগুলি পূর্ণবয়স্ক বাঘ। বিজেপিশাসিত অসম থেকে বিমানে উড়িয়ে এনেও বাগডোগরা থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে বক্সায় পৌঁছতে সড়কপথ ছাড়া সম্ভব নয়। ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই সব দিক ভেবে বন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাঘ আসবে কপ্টারে। এক বনকর্তার কথায়, ‘‘উড়িয়ে আনা হবে বাঘ। খাঁচা ঢোকাতে হবে বলে মালবাহী কপ্টারে নিয়ে আসা হবে। নয়তো ঝুলিয়ে আনা হবে। এখনও সে সব চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়েই যে বাঘদের জায়গা বদল করানো হবে, তা বলাই বাহুল্য।’’

তিন বছর আগের বাঘসুমারিতে দাবি করা হয়েছিল, তিনটি বাঘ রয়েছে বক্সায়। তবে তিনটি বাঘ যে রয়েছে, তার পুরোটাই অনুমান, হাতেগরম কোনও প্রমাণ নেই বন দফতরের হাতে— এ কথাও জানানো হয়েছিল তখন। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করেন, বক্সায় কোনও বাঘ-ই নেই। তখনই প্রশ্ন ওঠে, বাঘই যদি না থাকে তবে বক্সাকে, টাইগার রিজার্ভ বলা হবে কেন? বাঘ সংরক্ষণ বাবদ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা থেকে অর্থ বরাদ্দের যৌক্তিকতাই বা কতটা?

এই বির্তক মেটাতেই এ বার অসম থেকে বাঘ আনা হচ্ছে। প্রস্তুতি চলছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। জাতীয় বন্যপ্রাণী বোর্ডের অনুমতিও মিলেছে। চলতি মাসেই অসমের সঙ্গে ফের কথা হয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় বর্মনের। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি বাঘ আসবে বক্সায়।’’

বন দফতর আশা করছে, এ বছরের শেষ বা নতুন বছরের গোড়াতেই হয়তো বক্সার জঙ্গলে বাঘ ছাড়া হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে অসমের ওপরে। বনমন্ত্রী বললেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, আমরা এখন অসমের মুখাপেক্ষী।’’

বক্সার গভীর জঙ্গলে বাঘ থাকার জন্য বেশ কিছু প্রাকৃতিক-সংস্কারও করেছে বন দফতর। গন্ডারদের জন্যও উত্তরবঙ্গে নতুন দু’টি জায়গা তৈরি হচ্ছে। কোচবিহারের রসিকবিল এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পাশে এই দু’টি গন্ডার-আবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বন দফতরের কর্তারা জানান, নতুন আবাসে ছাড়ার জন্য বাইরে থেকে গন্ডার আনার প্রয়োজন নেই। গরুমারা এবং জলদাপাড়ায় প্রায় দু’শো গন্ডার রয়েছে। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে নিজেদের মধ্যে মারামারিও করছে তারা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Buxa Tiger Reserve Tiger
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE