—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে বিরোধীদের আক্রমণের মাঝেই এ বার আদালতেই প্রতি-আক্রমণে তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের দিন বাড়ানো নিয়ে যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পাশাপাশি, এ নিয়ে হাইকোর্টেও মামলা রুজু করে তারা। তবে কল্যাণবাবুর মতে, একই বিষয় নিয়ে দু’টি মামলা করা যায় না— এই আবেদন নিয়ে বুধবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে এ দিন বিজেপি-র তরফে কোনও প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত না থাকায় সেই মামলায় শুনানি শুরু করা যায়নি। ফলে আপাতত ঝুলে রইল পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে শুনানি। এ দিন হাইকোর্টে শুরুই হল না পঞ্চায়েত শুনানি। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ১২ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
এ দিন সকালে হাইকোর্টে একটি মামলা রুজু করে কল্যাণবাবুর দাবি, “বিজেপি সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করেছে। গত কাল এ নিয়ে হাইকোর্টের মামলায় সে তথ্য গোপন করেছে তারা। গত কাল আমি তা বিচারকের কাছে উল্লেখ করেছিলাম। আমাকে আজ সে নিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।” কল্যাণবাবুর আরও দাবি, “একই বিষয় নিয়ে দু’টি মামলা রুজু করা যায় না।”
আরও পড়ুন
ভোট কোন পথে, বলবে কি আদালত
এ দিন আদালতে বিজেপি-র তরফে কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। তাঁর প্রশ্ন, “আজ আদালতে কেন অনুপস্থিত বিজেপি?” এ নিয়ে কল্যাণবাবুর কটাক্ষ, “বিজেপি ভয়ে পালিয়েছে।” তবে আদালত কল্যাণবাবুকে জানিয়েছে, বিজেপি-কে এই মামলার নথি পাঠিয়ে দিতে। সেই সঙ্গে এ নিয়ে আদালতে হলফনামা পেশ করার জন্যও কল্যাণবাবুকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পরই এই মামলার শুনানি হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন
শাসকের ‘বোঝানো’য় ১২ ঘণ্টাতেই ডিগবাজি অমরেন্দ্রর
কল্যাণবাবুর কটাক্ষের জবাবে মুখ খুলেছে বিজেপি-ও। এ দিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কল্যাণবাবুর কথা শুনে মনে হচ্ছে যেন তিনিই এই মামলার রায়দান করবেন। কোর্ট ঠিক করবে, আদালত অবমাননা হচ্ছে কি না! আর আমরা পালিয়েছি কি না, তা-ও আদালতই ঠিক করবে।” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী যে নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং তার পরে সেটা প্রত্যাহার করা হল কেন?” দিলীপবাবুর দাবি, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার যে বেআইনি, তা কলকাতা হাইকোর্ট বলে দিয়েছে। বাকি বিষয়টা কমিশনারের হাতে রয়েছে, তিনিই ঠিক করবেন, এই সুবিধা তিনি কী ভাবে দেবেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy