Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজ্যে চার মাসে ১০ লক্ষ সদস্য করতে চায় বিজেপি

পুরভোট ও বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী চার মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব বুথে অন্তত ২৫ জন করে ও গোটা রাজ্যে দশ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল বিজেপি। ১ নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দেশ জুড়ে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ছ’বছর পর বিজেপির সব সদস্যকেই নতুন করে সদস্যপদ নবীকরণ করতে হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৩৬
Share: Save:

পুরভোট ও বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী চার মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব বুথে অন্তত ২৫ জন করে ও গোটা রাজ্যে দশ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল বিজেপি।

১ নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দেশ জুড়ে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করবেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। ছ’বছর পর বিজেপির সব সদস্যকেই নতুন করে সদস্যপদ নবীকরণ করতে হয়। সে দিন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রথম সদস্য করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তার পর মোদী করবেন অমিতকে। সাধারণত, ছ’বছর অন্তর বিজেপি তাদের সদস্য সংখ্যা কুড়ি শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। কিন্তু এ বারে মোদী-অমিত জুটি পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে দিতে চান। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আগামী চার মাসে পশ্চিমবঙ্গে দলের সদস্য সংখ্যা অন্তত দশ লক্ষ করতে চান অমিত।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “রাজ্যে ৫ নভেম্বর থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হবে। আমাদের লক্ষ্যই হল, বুথে বুথে পৌঁছে যাওয়া। তার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করা হবে। এর জন্য সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও ব্যবহার করা হবে। সব ধর্ম, সব সম্প্রদায়ের মানুষজনকেই বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।” অমিত শাহ চাইছেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের অনেক বুথেই এখনও পর্যন্ত দল যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। যে কারণে ভোটের সময় শাসক তৃণমূল বুথ দখলের মতো ঘটনা ঘটালেও বিজেপির পক্ষে সর্বত্র তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। তাই প্রথমে বুথস্তরে সংগঠনকে মজবুত করার উপরে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অমিত। নভেম্বরের শেষে রাজ্যে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়েও দেখবেন বিজেপি সভাপতি।

আপাতত দলের লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বুথে অন্তত ২৫ জন করে সদস্য সুনিশ্চিত করা। সদস্য সংখ্যা বাড়াতে এ বারে সদস্য সংগ্রহের ফর্মও আরও সরল করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও বিজেপির সদস্য হওয়া যাবে এই প্রথম। ১ নভেম্বর একটি মোবাইল নম্বর প্রকাশ করবে বিজেপি। দলের নেতারা জানিয়েছেন, সেই নম্বরে কেউ মিসড্ কল দেওয়ার পর নিজের নাম ও ঠিকানা এসএমএস করলেই তাঁকে সদস্য হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। তার পর সেই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। সেই ঠিকানা ও নম্বর ধরে সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাবেন রাজ্য নেতারা। প্রাথমিক সদস্যপদ নেওয়ার পরবর্তী দু’বছর ধরে সেই ব্যক্তি যদি দলের হয়ে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেন, তা হলে তাঁকে দলের ‘সক্রিয় সদস্য’ করে নেওয়া হবে।

বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনেই স্পষ্ট হয়েছে, মানুষ নরেন্দ্র মোদীর উপরে আস্থা রেখেছে। গত চার মাসে কেন্দ্রে মোদীর কাজের উপরেও যে মানুষ ভরসা রাখছেন, তার প্রমাণ মিলেছে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে। বিজেপির সূত্রের মতে, দলের সক্রিয় সদস্য ছাড়াও গোটা দেশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা সক্রিয় ভাবে বিজেপির সঙ্গে জুড়তে চান। অনেক অনাবাসী ভারতীয়ও বিজেপিতে আসতে চাইছেন। তাই এই অভিযানের মাধ্যমে সকলকেই যুক্ত করতে চায় দল। এই অভিযানের স্লোগান দেওয়া হয়েছে, ‘সশক্ত ভাজপা, সশক্ত ভারত সাথ আয়ে, দেশ বানায়ে’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE