Advertisement
০৬ মে ২০২৪

মোর্চার রাশ নিতে যুদ্ধ বিমল, বিনয়ের

গুরুঙ্গ-ঘনিষ্ঠ নেতারা কেউ জেলে, কেউ বা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের রাশ টানতে কর্মী-সমর্থকদেরই তাতিয়ে তুলতে চাইছেন তিনি। শনিবার একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে গুরুঙ্গ কর্মী-সমর্থকদের কাছে আজ রবিবার থেকে ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিভা গিরি, অনির্বাণ রায়
দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৪
Share: Save:

বার্তা বনাম বার্তা। ভিডিও-র জবাবে ভিডিও। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ এবং তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাঙ্গের মধ্যে লড়াই এখন তুঙ্গে। এক জন রয়েছেন গোপন ডেরায় অন্য জন কার্যত গৃহবন্দি। দলের নেতৃত্ব দখলে মরিয়া লড়াই চালাচ্ছেন দু’জনেই।

গুরুঙ্গ-ঘনিষ্ঠ নেতারা কেউ জেলে, কেউ বা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের রাশ টানতে কর্মী-সমর্থকদেরই তাতিয়ে তুলতে চাইছেন তিনি। শনিবার একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে গুরুঙ্গ কর্মী-সমর্থকদের কাছে আজ রবিবার থেকে ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দলের রাশ হাতে নিতে ঝাঁপিয়েছেন বিনয় তামাঙ্গও। তিনিও ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বন্‌ধ প্রত্যাহার হয়নি, শুধু স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছিল।’’ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, দলের কট্টরপন্থীরা বিক্ষোভ করলেও তামাঙ্গ দার্জিলিং ছেড়ে যাননি। তাতেই চিন্তা বেড়েছে গুরুঙ্গের। তার উপরে বন্‌ধ থেকে রেহাই পেতে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ‘বিনয় নীতি’ পাহাড়বাসীর মনে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সেবক-সহ বিভিন্ন জনপদের দোকান খুলতে শুরু করেছে। খুলছে চা বাগানও। এই পরিস্থিতিতে তাঁরাও যে শান্তি চান, তা প্রমাণ করতে রাজ্যের ডাকা আগামী সর্বদল বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাতে চান গুরুঙ্গরাও।

আরও পড়ুন:মোর্চা নেতাদের নির্দেশেই হামলা

তবে সূত্রের খবর, ‘উত্তরকন্যা’র বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিনয় তামাঙ্গরাও। বিনয় ঘনিষ্ঠ এক নেতার দাবি, ‘‘কার্শিয়াঙের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তো সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েই গিয়েছে। তার পরে আর কোনও বৈঠকের কথা আমরা জানি না।’’ তবে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘উত্তরকন্যার বৈঠকে কারা যাবেন, তা দু-এক দিনের মধ্যে ঠিক হবে। সেই মতো রাজ্যকে জানিয়েও দেওয়া হবে।’’

মোর্চার সহ-সম্পাদক জ্যোতিকুমার রাই প্রেস বিবৃতিতে দাবি করেছেন, বিনয় তামাঙ্গ এবং অনীত থাপাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু অনীত দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও বৈঠকের কথাই তাঁরা জানেন না। কোনও সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি নেই, তাঁদের কোনও চিঠিও পাঠানো হয়নি।

শনিবার দার্জিলিংয়ে মিছিল হয়েছে। কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। কালিম্পং, কার্শিয়াঙে মিছিল হয়নি। বৃষ্টির জন্য জনজীবন কিছুটা বিপর্যস্তও ছিল। গ্রামাঞ্চলের দোকানপাট খুচখাচ খুলেছে। শহরে দোকান খোলেনি। পাহাড় তাকিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যার বৈঠকের দিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE