নারদ কাণ্ডে আরও বেকায়দায় তৃণমূল। সিবিআইয়ের পর এ বার ১২ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। ফলে নারদ তদন্তে ১৭ এপ্রিল সিবিআই যে এফআইআর করেছিল, ইডি নতুন করে মামলা করায় তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: যোগীর মতো চুল কেটে এসো! ছাত্রদের ফতোয়া দিল মেরঠের স্কুল
নারদ কাণ্ডে সিবিআই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি এবং দুর্নীতি দমন আইনের কয়েকটি ধারায় মামলা করেছিল। কিন্তু এ বার ইডি ১২ জন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে যে মামলা শুরু করল, সেই মামলায় আরও সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ, তদন্ত চলাকালীন ইডি-র হাতে তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, নারদ স্টিং ভিডিওতে অভিযুক্তদের যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সেই টাকা কোথায় গেল, কোন কাজে লাগানো হল বা কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল তা খতিয়ে দেখা হবে। সে কারণে তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়কদের নোটিস পাঠানো হতে পারে। তাঁদের খুব শীঘ্রই ডাকা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়, অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত ৩-৪ বছরের আর্থিক লেনদেনের সমস্ত হিসেবনিকেশও খতিয়ে দেখা হবে।
বস্তুত, এই নারদ কাণ্ডকেই হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। সে কারণে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ উত্তরবঙ্গের নকশালবাড়ি থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গ বলে পরিচিত ভবানীপুরে ঘুরে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এ রাজ্যে এসেও অমিত শাহ নারদ কাঁটায় বিদ্ধ করেছেন তৃণমূলকে। পাল্টা হিসেবে মমতা দাবি করেছেন, বিজেপি বা মোদী সরকার তৃণমূলকে ভয় দেখাতে চাইছে। জেলে ঢোকানোর হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু তাতে ভয় না পেয়ে মমতা পাল্টা দিল্লি দখলের ডাক দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy