—ফাইল চিত্র।
কুণাল, অর্পিতা, মিঠুন এবং ইমরানের পরে ফের তৃণমূলের আরও সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে সারদা যোগে তলব করল ইডি।
এক সপ্তাহ আগেই সাংসদকে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। বুধবার তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে সংসদের বাদল অধিবেশন চলায় সাংসদ আদৌও নিজে হাজির হবেন নাকি কোনও প্রতিনিধি পাঠাবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ইডি সূত্রের খবর, সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী। সেই অনুসারে সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল তৃণমূলের ওই সাংসদের। এর বাইরেও অভিযোগ, সারদা গোষ্ঠী থেকে বেশ কয়েক বার সাংসদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। সেই সব নথিও সাংসদের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সারদা কাণ্ডে রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর তৃণমূলের একাধিক সাংসদের নাম উঠে এসেছিল। যদিও সারদা কাণ্ডে প্রথম মামলার অভিযোগকারিনী অর্পিতা ঘোষের বয়ান নথিভুক্ত করা এবং কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা ছাড়া অন্য কোনও সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয়নি।
ইডি এবং সিবিআই তদন্ত শুরু করার পরেও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল, তার মধ্যে সাংসদ শতাব্দীর নামও উঠে এসেছিল। কিন্তু দু’বছর তদন্ত চললেও সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে সারদা কাণ্ডের তদন্ত চলছে। এত দিন বাদে সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইতিমধ্যে অবশ্য এমন অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও সরব হয়েছেন মামলাকারীরা।
এর আগে সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। কোনও অভিযোগ উঠলেই হয় না। নির্দিষ্ট তথ্যসূত্র হাতে না এলে জিজ্ঞাসাবাদ করা মুশকিল, বিশেষ করে সে তালিকায় যদি কোনও সাংসদ থাকেন। এ ক্ষেত্রে সাংসদ শতাব্দীর সঙ্গে সারদার আর্থিক যোগসূত্র সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এসেছে। সে বিষয়ে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তা দূর করতে সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
শতাব্দীর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, জেরায় সারদার একাধিক কর্মী থেকে শুরু করে ধৃত দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সাংসদ শতাব্দী বেশ কয়েক বার সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কে সারদার মূল দফতরে যাতায়াত করতেন। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকও করেছেন।
সে বিষয়টি নিয়ে অবশ্য ইডির এক তদন্তকারী জানান, তাঁরা মূলত আর্থিক যোগাযোগ নিয়েই প্রশ্ন করবেন। যদিও সেই প্রসঙ্গে মিডল্যান্ড পার্কে সাংসদের যাতায়াতের যদি কোনও সূত্র থাকে, তবেই সে বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy