প্রেসিডেন্সির ২০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে মনমোহন সিংহ। শুক্রবার রণজিৎ নন্দীর তোলা ছবি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্ত চিন্তার উপরে রাজনীতি ও অন্য সব ধরনের ছড়ি ঘোরানোয় বেদনাহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। প্রেসিডেন্সি কলেজের দু’শো তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটের ক্যাম্পাসে মনমোহন ছিলেন একেবারেই শিক্ষকের মেজাজে। শিক্ষকের মনোবৃত্তি নিয়েই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিয়ে দুঃখ করেছেন প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ।
একই দিনে একই মঞ্চে আলাদা সময়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় আক্ষেপ করেছেন ইদানীং কালে একেবারে স্বাধীন গবেষণার কাজ কমে যাচ্ছে বলে। শিক্ষার উৎকর্ষের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির আবেদন, ভাবনা ও গবেষণায় মৌলিক কাজ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আরও বেশি করে অর্জনের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে হবে সকলকে।
মনমোহন বলেছেন, ‘‘স্বাধীন চিন্তা এবং বাধাহীন ভাবে কাজ করতে পারা এখন আটকে যাচ্ছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে। নানা নিয়োগ হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে। হায়দরাবাদ বা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটনা ঘটেছে, একেবারেই অগণতান্ত্রিক। শিক্ষার পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর।’’ অর্থনীতির কৃতবিদ্য শিক্ষকের আরও যুক্তি, পড়ুয়াদের স্বাধীন চিন্তায় উৎসাহ দেওয়াই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ। যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্দেশ্যমূলক প্রচার অস্বীকার করতে পারে, কল্পনা থেকে বাস্তবকে আলাদা করতে শেখে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সব সময়েই দাঁড়াতে হবে মানবতা ও সহিষ্ণুতার পক্ষে।
মনমোহন বলতে ভোলেননি, ‘‘রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছিলাম ঘটনাচক্রে! আমি সব সময়েই শিক্ষক হতে চেয়েছি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কোনও সুযোগ এলে হাতছা়ড়া করতে চাই না।’’ তবে এ রাজ্যে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অসীম দাশগুপ্তের সঙ্গে হৃদ্যতা বা ছাত্র হিসাবে অমিত মিত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy