সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। —ফাইল চিত্র।
সাময়িক স্বস্তি মিলল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাহাড় থেকে এখনই সরছে না সেনা। মঙ্গলবার রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর অবধি ওই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
গত কয়েক দিন ধরেই সেনা প্রত্যাহার ইস্যু ঘিরে চরমে ওঠে কেন্দ্র ও রাজ্য তরজা। গত রবিবার হঠাৎই পাহাড় থেকে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। পরে অবশ্য রাজ্য সরকারের বিরোধিতার মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কেন্দ্র। রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়, আপাতত ৭ কোম্পানি বাহিনী সরানো হবে। সে সময় শাসক দলের এক নেতা অভিযোগ করেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু, তা ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে। ফলে এই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলে বিমল গুরুঙ্গপন্থীরাই তাতে আরও উৎসাহ পাবেন।
আরও পড়ুন
ভারতীয় শ্রমিকদের ঘাম-রক্ত দিয়ে গড়া তাজমহল: যোগী আদিত্যনাথ
‘শুধু তাজ কেন! সংসদ, রাষ্ট্রপতি ভবনও গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক তবে’
অমিতাভর মৃত্যুতে এত শোক, তাপস, অমিতরা কোথায় গেলেন?
অন্য দিকে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে ফোন করে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজনাথ সিংহকে চিঠিও লেখেন তিনি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর পথে প্রতিবন্ধকতার তৈরি করবে তা-ও চিঠিতে জানান মমতা। কিন্ত, তা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে কেন্দ্র। হিমাচল প্রদেশে বিধানসভার নির্বাচনের জন্যই বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্ত বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা। তা ছাড়া, কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পাহাড়ের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে বাহিনী সরানো যেতে পারে।
এর পর এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাজ্য সরকার। এ দিন দুপুরে তার শুনানি ছিল। শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন প্রশ্ন তোলেন, উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে পাহাড় থেকে কী ভাবে সেনা সরাচ্ছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনের জন্য বাহিনী সরানোর কেন্দ্রের যুক্তিও খারিজ করে দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy