Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কেন্দ্র-রাজ্য-জিটিএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পথে এগোচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

জিটিএ চুক্তি রূপায়ণ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখার কথা বলে কেন্দ্র-রাজ্য-জিটিএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পথে এগোচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি শান্ত হলে ওই বৈঠক হবে।

কেন্দ্র-রাজ্য-জিটিএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

কেন্দ্র-রাজ্য-জিটিএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০৩:৪৮
Share: Save:

লড়াই চলছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিমল গুরুঙ্গের। এ বার ঢুকে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী।

জিটিএ চুক্তি রূপায়ণ ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখার কথা বলে কেন্দ্র-রাজ্য-জিটিএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পথে এগোচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি শান্ত হলে ওই বৈঠক হবে। গুরুঙ্গ ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, চুক্তি মেনে রাজ্য জিটিএ-র হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেয়নি। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র বৈঠক ডাকলে সেটা কার্যত গুরুঙ্গের অভিযোগকেই ঘুরপথে মান্যতা দেওয়ার উদ্যোগ কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, দীর্ঘ দিন ধরেই মোর্চা নেতৃত্ব ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকার দরবার করে আসছেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেই বলেছি, এই অশান্তির পিছনে বিজেপির মদত আছে। কেন্দ্রের বৈঠক ডাকার চেষ্টায় তার সত্যতা স্পষ্ট হল।’’

পাহাড় নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর এ দিনও চলেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ চুঁচুড়ায় বলেন, ‘‘উনি (মুখ্যমন্ত্রী) অশান্তি বাধাতে পারেন। কিন্তু তা সামলানোর যোগ্যতা নেই। ওঁর বিভাজনের রাজনীতি বুঝতে পেরেই গোর্খা বন্ধুরা পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়েছে।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহর বক্তব্য, ‘‘জিটিএ-কে এড়িয়ে পাহাড়ে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই ফলে অশান্তি হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন:তিন চালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাল্টা চাপ

তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বুধবার কলকাতায় দিলীপবাবুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। পর দিনই পাহাড়ে আগুন জ্বালাল তারা। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কলকাতায় পরামর্শ করে পাহাড়ে গিয়ে এ সব জঙ্গিপনা করেছে। এর মাঝে ঘোলাজলে খেলতে নেমেছে বিজেপি। আর সাইনবোর্ডও নেই যে সিপিএমের, তারাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’’

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এ দিনই দার্জিলিং সমস্যার সমাধানে সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জিটিএ-কে শত্রু না ভেবে ওদের নিয়ে সর্বদলীয় আলোচনায় বসা উচিত।’’ এআইসিসি মুখপাত্র গৌরব গগৈ বলেন ‘‘রাজ্য সরকারের পদক্ষেপই পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট করেছে।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈনও বলেন, ‘‘দার্জিলিঙের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা আছে। সেখানে বাংলা ভাষাকে চাপিয়ে দিয়ে মমতা গোর্খার আবেগে আঘাত দিয়েছেন।’’

পাহাড় নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতির বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে মোর্চার দিল্লি শাখা দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। রবিবার দিনভর যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ দেখাবে গোর্খা ফাউন্ডেশন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE