Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মির্জাকে এ বার জেরা ইডি-র

স্টিং অপারেশনে নারদ নিউজের ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে মির্জা নিজের বাংলোর অফিসে বসে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, রাজ্যসভার এক সদস্যের নির্দেশে ম্যাথু ওই টাকা মির্জার হাতে তুলে দেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৭ ০৪:৩২
Share: Save:

দু’দিনে পুলিশকর্তা সৈয়দ মহম্মদ হোসেন আলি মির্জাকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। নারদ-তদন্তে মঙ্গলবার তাঁকেই টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অফিসারেরা জানান, মির্জা এখনও পর্যন্ত তদন্তে সাহায্যই করছেন। তবে তাঁকে আবার ডাকা হতে পারে।

স্টিং অপারেশনে নারদ নিউজের ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে মির্জা নিজের বাংলোর অফিসে বসে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, রাজ্যসভার এক সদস্যের নির্দেশে ম্যাথু ওই টাকা মির্জার হাতে তুলে দেন। ভিডিও ফুটেজে সেই সাংসদ ও মির্জার ছবি ধরা পড়েছে। ওই পুলিশকর্তার বাংলোয় বেশ কিছু নেতা ও মন্ত্রীর নজরানার টাকাও জমা পড়ত বলে জানাচ্ছে সিবিআই। মির্জা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।

ইডি-র এক তদন্তকারী জানাচ্ছেন, রাজ্যসভার ওই সদস্য বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার মির্জার বাংলোয় গিয়ে টাকা দিয়ে আসতে বলেছিলেন ম্যাথুকে। সেই অনুযায়ী ম্যাথু ওই টাকা মির্জার হাতে তুলে দেন। ইডি সূত্রের খবর, ম্যাথুর দেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা তিনি সাংসদের হাতে দিয়েছিলেন কি না, মির্জার কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। মির্জার ওই বাংলোয় অনেক নেতা-মন্ত্রীর নামে টাকা জমা পড়ত বলে তদন্তে জেনেছে ইডি। ওই পুলিশকর্তা সেই সব নগদ টাকা কবে কী ভাবে নেতা-মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, এ দিন মির্জার কাছে তা জানতে চান তদন্তকারীরা।

২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং অপারেশন চালানো হয়। এক তদন্তকারী জানাচ্ছেন, নির্বাচনের সময় বলে অভিযুক্ত সাংসদ নিজের হাতে টাকা না-নিয়ে পুলিশকর্তার হাতে দিতে বলেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী পুলিশকর্তারাও বেহিসেবি নগদ টাকা নিজের কাছে রাখতে পারেন না। সে-ক্ষেত্রে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা কোন ক্ষমতাবলে পুলিশকর্তা নিজের কাছে রাখলেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।

ইডি-র তদন্তকারীদের দাবি, ওই পুলিশকর্তার সঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুলিশকর্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাঁচ লক্ষ টাকা সাংসদের কোন তহবিলে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েও সবিস্তার খোঁজখবর চলছে। কোন কোন ব্যবসায়ী ওই বাংলোয় নেতা-মন্ত্রীদের নামে টাকা দিয়েছেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE