কেন্দ্র ১০০টি গোপন ফাইল প্রকাশ করলেও নেতাজি সম্পর্কে এখনও অনেক তথ্য আড়ালে রয়ে গিয়েছে। মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী শনিবার উত্তরবঙ্গে বলেছেন, নেতাজি রাশিয়াতেই ছিলেন। রুশ সরকার ফাইল প্রকাশ করলেই সেই তথ্য সামনে আসবে।
রাজ্য সরকারের হাতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি গোপন ফাইল আগেই প্রকাশ্যে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের হাতে যে সব গোপন নথি ওই বিষয়ে রয়েছে, তাও প্রকাশ করা উচিত বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি তুলেছিলেন তখনই। প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের হাতে থাকা মোট ১০০টি গোপন ফাইল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে সন্তুষ্ট নন। এই সব ফাইল থেকে নেতাজির অন্তর্ধান সম্পর্কে সব কিছু জানা যাবে না বলে তিনি মনে করছেন। উত্তরবঙ্গ সফররত মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সকালে বলেন, ‘‘নেতাজি গবেষকরা বলছেন, নেতাজি রাশিয়াতে ছিলেন। আমি কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি, রাশিয়া থেকে ফাইল আনা হোক।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, রাশিয়া থেকে ফাইল আনালে বোঝা যাবে ৭৫ বছর আগে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল। নেতাজির দেহাবশেষ বলে যা জাপানের রেনকোজি স্মৃতিমন্দিরে রাখা রয়েছে, তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হল না কেন, মমতা এ দিন সে প্রশ্ন তোলেন। অবশ্য চিতাভষ্মের ডিএনএ পরীক্ষা হওয়া কী করে সম্ভব, সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি। রেনকোজি থেকে চিতাভষ্ম দেশে ফেরোনার দাবিও তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা তো সব ফাইল প্রকাশ করেছি। কেন্দ্রও সব ফাইল ওপেন করুক। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া গিয়েছিলেন। নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল তিনি রাশিয়ার কাছে চেয়েছেন কি না জানি না। মানুষ সেটা জানতে চায়।’’
আরও পড়ুন:
দুই নেতার জটিল সম্পর্কের সূক্ষ্ম ইতিহাস
কেন্দ্রের প্রকাশ করা ১০০টি ফাইলে যে সব তথ্য রয়েছে, তা থেকে এখনও নেতাজি অন্তর্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও বিতর্কিত বিষয় সামনে আসেনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনা মানতে নারাজ, তা কিন্তু দিনকয়েক আগেও তিনি স্পষ্ট করেছেন। তিনি নেতাজির পরিজনদের উপস্থিতিতেই সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘তাইহোকুতে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল বলে আমি মানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy