এমনই দশা। ছবি: অরুণ লোধ।
পুর নির্বাচনে গঙ্গার ধারের ঝাউতলা ঘাটের অন্ধকার রাস্তার মেরামতি ও আলো লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ভোটে জিতে আবার বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। কিন্তু ছ’মাস পরে আলো তো দূর অস্ত্, রাস্তাটির মেরামতিও হয়নি। প্রতি দিন অনেকে এ পথে যাতায়াত করেন। যদিও রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বজবজ পুর-কর্তৃপক্ষ।
বজবজের মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে গঙ্গা পেরিয়ে হাওড়ার বাউড়িয়াতে আসতে হলে এই পথ দিয়ে ঝাউতলা ঘাটে যেতে হয়। এই রাস্তার বাতিস্তম্ভের আলোগুলি দীর্ঘ দিন খারাপ। তার উপরে রাস্তাটিও ভাঙাচোরা। বর্ষায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। সন্ধ্যার পরেই রাস্তাটি আঁধারে ডুবে যায়। এক পাশে মিলের পাঁচিল, অন্য দিকে খাটাল। মাঝে হাতে গোনা কয়েকটি ঘর। সন্ধ্যার পরে নির্জন ও খানাখন্দের ভরা রাস্তাটি আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে।
বর্ষায় ভাঙাচোরা রাস্তাটির বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে যায়। তখন চলাচল দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এক রিকশা চালক বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। রিকশায় ঝাঁকুনি হয়। যাত্রীরা বিরক্ত হন। রিকশারও ক্ষতি হয়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা পিঙ্কি অগ্রবাল বলেন, ‘‘গঙ্গার পাড়ে একটি পার্ক রয়েছে। রাস্তার এই অবস্থার জন্য ইচ্ছে সত্ত্বেও যেতে পারি না।’’
সিপিএমের বজবজ-বাটা জোনাল কমিটির সদস্য প্রদ্যোৎ মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূল নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েও পালন করেনি।’’ এই পথ দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন বাউরিয়ার বাসিন্দা যোগেন মণ্ডল। তিনি বললেন, ‘‘ এই পথেই কলকাতায় আসি। দিনে বেহাল রাস্তা দিয়ে কোনওমতে যাই। রাতে আরও খারাপ অবস্থা হয়। প্রায় অন্ধের মতো চলতে হয়। বৃষ্টির সময়ে আরও দুর্বিষহ অবস্থা হয়।’’ এই রাস্তায় চলতে গিয়ে পা মচকে গিয়েছিল বন্দনা দত্তের। তাঁর কথায়, ‘‘রাতে কোথায় গর্ত বুঝতে পারিনি। গর্তে পা পড়ে মচকে গিয়েছিল। বেশ কয়েক দিন কাজে বেরত পারিনি।’’ পথচারীদের অভিযোগ, এলাকার বাইরের মানুষ এই রাস্তা বেশি ব্যবহার করেন বলে পুরসভা সে ভাবে উদ্যোগী নয়।
যদিও বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এরকম কোনও ব্যাপার নেই। আসলে পুরসভার আর্থিক অবস্থা খুব ভাল নয়। এর মধ্যেই উন্নয়নের কাজ চলছে। ওই রাস্তাটির কথাও ভাবা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy