প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য চলতি বছরেই ই-পেনশন চালু হয়েছে। কিন্তু সেই পেনশন পাইয়ে দিতে ইতিমধ্যেই দালালচক্র গজিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
একটা সময় শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পেনশন পেতে গিয়ে হেনস্থা হওয়াটা ছিল খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাতে দাঁড়ি টানতে গত জুন মাস থেকে ই-পেনশন চালু হয়েছে। সে জন্য অনলাইনে যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে অবসরের মুখে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। যাতে অবসরের দিনই পেনশন চালু করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করা যায়।
অভিযোগ উঠেছে, অনলাইনে পেনশনের আবেদনে কোনও ভুল হলে তা সংশোধনের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসেরই এক শ্রেণির কর্মী অর্থ দাবি করছেন। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, অনেক প্রাথমিক স্কুলেই কম্পিউটার নেই। সেই ক্ষেত্রে সাইবার কাফে অথবা অন্যত্র গিয়ে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করতে হচ্ছে। তার পরিবর্তে অনেকেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের কর্মীদের উপর বেশি আস্থা রাখছেন। সেই সুযোগেই টাকার দাবি করা হচ্ছে— অভিযোগ স্বপনবাবুর।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, তাঁদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি। এলে সংগঠনগত ভাবে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করবেন।
স্কুল শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, অবসর নিতে যাওয়া শিক্ষকদের যাতে কোনও অবস্থাতেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে ছোটাছুটি করতে না হয়, সেই জন্যই ই-পেনশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। অনলাইনে পেনশনের আবেদন করার পদ্ধতি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শিখিয়েও দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, প্রধান শিক্ষকেরই উচিত দায়িত্ব নিয়ে অনলাইনে নির্ভুল ভাবে তথ্য জমা দেওয়ার বিষয়টি দেখিয়ে দেওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy