প্রতীকী ছবি।
কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রের ‘কৃষি কর্মণ’ সম্মান পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। কৃষিতে আরও উজ্জ্বল সাফল্যের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘কৃষি-বন্ধু’ প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। তাই কৃষি ক্ষেত্রে এ বার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু করতে চলেছে তারা।
জুলাইয়ে রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কৃষি দফতরের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রশিক্ষণ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। রাজ্য মনে করছে, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করতে পারলে জেলা স্তরে বাড়তি কর্মসংস্থান হবে, কৃষকেরাও উপকৃত হবেন। গত ছ’বছরে রাজ্যে কৃষকদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ধান, আলু, ডাল, আনাজ ও ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিকল্প চাষও শুরু হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। প্রাথমিক ভাবে চাষিরা যে-সব সমস্যায় পড়েন, প্রশিক্ষিত কৃষি-বন্ধুরা সহজেই তার সমাধানের পথ বাতলাতে পারবেন।
এই প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রম কেমন হবে, তা ঠিক করার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ঠিক হয়েছে, রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানের আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃতকার্য ছেলেরাই এই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে পারবে। প্রশিক্ষণের শেষে তারা স্বাধীন ভাবে কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করতে
পারবে এবং আয়ও করবে বলে সরকারের আশা।
‘‘যাঁরা প্রশিক্ষণ দেবেন, এখন চলছে তাঁদের প্রশিক্ষণ। এর পরে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে,’’ বললেন কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তিনি জানান, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ নিয়েই এগোনো হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেড় বছরেই কৃষি ক্ষেত্রে একটা দক্ষ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানবসম্পদের জোগান দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy