Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিপরীতমুখী

শত আমন্ত্রণ থাকলেও সযত্ন এড়িয়ে গিয়েছেন রাজনীতি। পরেননি কোনও দলের জার্সি। কেন? স্রোতের উল্টো দিকে থাকা সেলিব্রিটিদের সঙ্গে কথা বললেন ইন্দ্রনীল রায় ছয়-সাত বছর আগে একটা জোক কান পাতলেই শোনা যেত টলিউডে। জোকটা এই রকম টলিউডের প্রিয় ট্রেন কোনটা? উত্তর: কলকাতা-চেন্নাই-কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করা করমণ্ডল এক্সপ্রেস। জোকের উৎপত্তির কারণ সেই সময় দক্ষিণী ছবির রিমেকের ঢল নামছিল টালিগঞ্জে এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছিল তার প্রতীক।

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০০:৩০
Share: Save:

ছয়-সাত বছর আগে একটা জোক কান পাতলেই শোনা যেত টলিউডে।

জোকটা এই রকম টলিউডের প্রিয় ট্রেন কোনটা? উত্তর: কলকাতা-চেন্নাই-কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করা করমণ্ডল এক্সপ্রেস। জোকের উৎপত্তির কারণ সেই সময় দক্ষিণী ছবির রিমেকের ঢল নামছিল টালিগঞ্জে এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছিল তার প্রতীক।

আজ ২০১৪-তে করমণ্ডল এক্সপ্রেস যেন ফিরে এসেছে টলিউডে। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে যেমন ফিল্ম তারকাদের দাপাদাপি (এমনকী চিত্রনাট্যকার এম করুণানিধি মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন), সেই রিমেকের ট্রেন্ড এ বার টলিউডেও। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাশের রাজ্য ওড়িশাতেও বহু সেলিব্রিটি এ বার রাজনীতির মঞ্চে।

কিন্তু এত হইচই, এত লাফালাফির পাশে এমন কিছু সেলিব্রিটি রয়ে গিয়েছেন, যাঁরা শত প্রলোভন থাকা সত্ত্বেও রাজনীতির বইতে নাম লেখাননি। এমনিতেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মনে করেন একবার স্টারডম চলে গেলে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বলতে আর কিছু থাকে না। সেখানে রাজনীতিই হতে পারে তাঁদের ইনস্যুরেন্স, তাঁদের অবলম্বন। সঙ্গে অবশ্যই পাত্তা, প্রচার এবং প্রতিপত্তি।

কিন্তু তা সত্ত্বেও যাঁরা গেলেন না রাজনীতিতে, গেলে কি তাঁদের লাভ হত? বিপরীতমুখী হয়ে কি ভুল করলেন তাঁরা? কতটা সহজ ছিল এই ‘না’ বলাটা?

***

আল পাচিনোর সামনে অভিনয় পারব, কিন্তু রাজনীতি নয়

“না, সহজ ছিল না ‘না’ বলাটা”, স্পষ্ট বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এ বার দিল্লিতে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও এত দিন ধরে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘কাকাবাবু’। কিন্তু কেন?

“দেখুন, আমি সবাইকেই এটা বোঝাতে পেরেছিলাম রাজনীতির ময়দানের জন্য আমি তৈরি নই। মুখ্যমন্ত্রী মমতাদিকে এটা বলেছিলাম। উনি আমার কথাটা যে মেনেছেন, সেটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সত্যি বলতে আমি সিনেমাটা বুঝি। আল পাচিনোর সামনে আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলে আমি অন্তত একটা চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু রাজনীতির কিছু বুঝি না,” বলেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু দেব যে ৩২ বছর বয়সেই রাজনীতির ময়দানে, সেটাকে কী ভাবে দেখেন ‘অরুণ চ্যাটার্জি’?

“এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি ট্যুইটারে বেস্ট অব লাক-ও জানালাম। আমি চাইব ও ভাল কাজ করুক। কিন্তু আমার মনে হয় রাজনীতিতে যাওয়ার আইডিয়াল বয়সে রয়েছে মুনমুনদি, সন্ধ্যাদি কি আমার বাবা,” ঘুরিয়ে উত্তর দেন সুপারস্টার।

অন্য দিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও বিজেপি প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিল। কিন্তু সেই খবর বের হওয়ার পর থেকেই ট্যুইটার, ফেসবুকে ঝড় বয়ে যায়। বহু মানুষের আর্তি ছিল, ‘সৌরভ ক্রিকেট নিয়েই থেকো, রাজনীতিতে যেও না।’ পরে মানুষের আর্তির সঙ্গে সৌরভের সিদ্ধান্ত মিলে যায়। শেষমেশ পার্লামেন্টের পিচে ব্যাট করতে যাননি সৌরভ।

***

কেন ভাগ করে দিচ্ছেন আপনার ফ্যানদের?

এমনিতেই সেলিব্রিটিদের রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে অমিতাভ বচ্চনের সেই গল্পটা আজও বহু মানুষের মনে আছে।

শোনা যায়, অসমের এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় অমিতাভের কাছে একজন একটি চিরকুট পাঠায়, যাতে লেখা ছিল: ‘হোয়াই আর ইউ ডুয়িং দিস টু আস।’

যার অর্থ দাঁড়ায়, আমরা আপনার ফ্যান। কিন্তু আপনি একটা রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পর আপনাকে ভালবাসতে অসুবিধে হচ্ছে। যেহেতু আমরা অন্য দলের সমর্থক। কেন ভাগ করে দিচ্ছেন আপনার ফ্যানদের?

অনেকেই বলাবলি করছেন দেবের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যাপার ঘটতে পারে। দেবের বহু ফ্যান আছেন, যাঁরা সিপিএম সমর্থক। তাঁরা দেবকে একই রকম সমর্থন করেন কি না, সেটাই দেখার। এই আশঙ্কাটা বহু সেলিব্রিটিকেই রাজনীতিতে যোগ দেওয়া থেকে বিরত করেছে।

সমাজতত্ত্ববিদ অভিজিৎ মিত্র অবশ্য মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলি সেলিব্রিটি ক্যান্ডিডেট দাঁড় করাচ্ছেন একটি বিশেষ কারণের জন্য।

“দেখুন, সেলিব্রিটি ক্যান্ডিডেট হলে আপনাকে সেই ক্যান্ডিডেটকে মানুষকে চেনাতে বেশি খরচ করতে হবে না। কারণ তাঁরা সেলিব্রিটি। তার মানে কস্ট অব ক্যাম্পেন উইল বি অ্যাট আ মিনিমাল। ভোটে সেলিব্রিটি সাউথ ইন্ডিয়াতে বহু দিন ধরেই হয়ে এসেছে। এ বার বাংলাতেও শুরু হয়ে গেল,” বলছেন অভিজিৎবাবু।

***

এই প্রথম মায়ের কথা শুনলাম

অন্য দিকে রাজনীতিতে না আসার সিদ্ধান্তকে ভুল মানেন না রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মহাভারতে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করার পর থেকেই তাঁর কাছে রাজনীতির ওপেন ইনভিটেশন।

সেই ১৯৯০ সালে দক্ষিণ দিল্লিতে তাঁকে টিকিট দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস পার্টি। পরে ১৯৯৮-১৯৯৯য়ে তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছিল বিজেপি। এমনকী এক সময় সিপিএম-য়ের শীর্ষ নেতাদের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠও ছিলেন রূপা। এমনকী মঙ্গলবার বিকেল অবধি তাঁর কাছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু আজও অবধি সক্রিয় রাজনীতির ধারেকাছে এলেন না রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রাজনীতিতে যোগ না দিয়ে কি ভুল করলেন?

“মনে হয় না কোনও ভুল করেছি, জানেন,” রোববার সকালে আড্ডা মারতে মারতে বলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

একটু থেমে আবার শুরু করেন তিনি, “দেখুন একটা সময় নন্দনে বসে আর্টিস্ট ফোরামের নানা কাজ করতাম আমরা। সেই সময় বুদ্ধবাবুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। উনি আমাদের সব কাজে সাহায্য করতেন। কোনও কাজ কী ভাবে করলে সুবিধে হয়, তার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে ঢুকতে আমাকে কোনও দিন বলেননি। জীবনে কোনও ইঙ্গিতও দেননি,” সাফ জানান রূপা।

কিন্তু রাজনীতিতে এলেও তো মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করা যায়, সেই দিকটা কখনও টানেনি রূপাকে?

“দেখুন, রাজনীতিতে থাকলেই সোশ্যাল ওয়ার্ক করা যাবে, এটা আমি মানি না। আমি রাজনীতির বাইরে থেকেও আমার সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে ভাল আছি। নিজের মতো করে ছোট ছোট কাজ করি। এটাই ভাল। সেই কবে মা বলেছিল: ‘রাজনীতিতে যাইস না রূপা’। আমি অন্তত একবার মা-র কথা শুনলাম,” হাসতে হাসতে

বলেন তিনি।

***

সৌরভরা বুদ্ধিমান

সমাজতত্ত্ববিদ প্রশান্ত রায় অবশ্য সেলিব্রিটিদের রাজনীতিতে প্রবেশকে কালের নিয়ম হিসেবেই দেখছেন। তাঁর মতে, আজকের মিডিয়া সেলিব্রিটি তৈরি করে এবং সব জায়গাতেই আজ সেলিব্রিটিদের নিয়ে মাতামাতি হয়। এই কারণেই তিনি মনে করেন রাজনৈতিক দলগুলি সেলিব্রিটিদের কাঁধে ভর দিয়ে ভোটের বৈতরণী পার করার কথা ভাবছেন। তিনি অবশ্য এটাও মানছেন, যাঁরা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না, তাঁরা খুব শীঘ্রই আরও সংখ্যালঘুতে পরিণত হবেন।

“সৌরভ বা প্রসেনজিৎ কি অপর্ণা তো হাতে গোনা। এঁরা মাইনরিটি। তার থেকে অনেক বেশি মানুষ তো ভোটে জয়েন করেছেন। এই ভোটে সেলিব্রিটিরা কী করেন, জেতেন না হারেন, সেটা অবশ্যই অনেকের মতো আমার কাছে এই ভোটের খুব ইন্টারেস্টিং একটা হাইলাইট,” বলছেন প্রশান্তবাবু।

কিন্তু যাঁরা জয়েন করছেন না ভোটে, তিনি কি মনে করেন তাঁরা বেশি বুদ্ধিমান? “অবশ্যই। সৌরভরা অবশ্যই বুদ্ধিমান কারণ রাজনৈতিক একটা রং লাগলে আপনার সব অ্যাকশন সেই প্রিজমের ভিতর দিয়েই দেখা হয়। সেটা সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ক্ষতিকারক হতে পারে,” বলেন প্রশান্তবাবু।

***

এটা অবশ্যই গণউন্মাদনা

অন্য দিকে, দেবের সঙ্গে এক সময় ওয়ার্কশপ করেছেন তিনি, ‘শঙ্কর’-য়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। কিন্তু তা-ও দেবের রাজনীতিতে যোগদান করাটাকে গণ-উন্মাদনা বলেই আখ্যা দিচ্ছেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন।

“এটা একেবারে মাস হিস্টেরিয়া। খুব পরিকল্পিত ভাবে দেবদের এটা বোঝানো হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওরাও সেটা বিশ্বাস করছে। এটা গণউন্মাদনা ছাড়া আর কিছু নয়,” বলছেন কৌশিক। বহু দিন ধরেই প্রায় সব রাজনৈতিক দলই কৌশিককে পেতে মরিয়া। কিন্তু আজও উনি ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভয়েস’ হিসেবেই থেকে গিয়েছেন। এ বারের নির্বাচনেও কৌশিককে আম আদমি পার্টির টিকিট অফার করা হয়েছিল। কিন্তু উনি ‘না’ বলে দিয়েছেন।

“হ্যাঁ, আমাকে টিকিট অফার করেছিল আম আদমি পার্টি। ওদের বেঙ্গল শাখার একজন আমার সঙ্গে দেখা করে। তাঁরা আমাকে কিছু লিটারেচার পড়তে দেন। ওটা পড়ে আমি বুঝতে পারিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কী ভাবনা। তাই ‘না’ বলে দিয়েছি,” স্পষ্ট উত্তর কৌশিকের।

***

থ্যাঙ্ক গড, কেউ আমার বাড়ির বাইরে দাঁড়ায়নি

অন্য দিকে অভিনেত্রী-পরিচালিকা অপর্ণা সেনকেও বহু দিন ধরেই বহু রাজনৈতিক দল প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। কিন্তু টলিউডের রিনাদি আজও কোনও রাজনৈতিক জার্সি পরা থেকে বিরত থেকেছেন।

“থ্যাঙ্ক গড, কেউ আমার দরজার বাইরে দাঁড়ায়নি টিকিট নিয়ে। বোধহয় এত দিনে ওঁরা সবাই বুঝে গিয়েছেন আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না। তার কারণ আমি পাবলিকলি বলে দিয়েছি যে আমার রাজনীতিটা ইস্যু বেসড, কোনও পার্টি বেসড নয়,” দিল্লি থেকে বলেন অপর্ণা সেন।

ঊষা উত্থুপ

কৌশিক সেন

অন্য দিকে দেবের রাজনীতিতে আসার পিছনে প্রধান ভূমিকা যাঁর, সেই শ্রীকান্ত মোহতা অবশ্য মনে করেন তারকাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা না-দেওয়া সম্পূর্ণটাই তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। “দেব রাজনীতিতে এসেছে আর বুম্বাদা রাজি হয়নি এই দুই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাপারটা যে দেব ভার্সেস বুম্বাদা হয়ে গেল, সেটা আমি মনে করি না । দেব মনে করছে, ও রাজনীতিতে থেকে মানুষের সেবা করবে। বুম্বাদা মনে করে, রাজনীতিতে ওঁর কোনও স্থান নেই। এটা একেবারেই পার্সোনাল চয়েস,” বলেন শ্রীকান্ত।

অন্য দিকে কলকাতার আনঅফিশিয়াল ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ উষা উত্থুপকেও বছরের পর বছর বহু রাজনৈতিক দল টিকিট অফার করেছে। কিন্তু কিছুতেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেননি অরিজিনাল ‘দিদি’। তার কি কোনও বিশেষ কারণ আছে?

“হ্যাঁ, আছে তো বটেই। আমাকে বহু বার কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, তৃণমূল অ্যাপ্রোচ করেছে। কিন্তু আমি তাঁদের একটাই কথা বলেছি। আমাকে উন্নয়নমূলক কাজে লাগান, আমি নিশ্চয়ই করব। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েই যে শুধু মানুষের সেবা করা যায়, সেই থিয়োরিটা আমি মানি না,” কেরল থেকে বলেন উষা। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি, বিপরীতধর্মী এই মানুষদের মনের কথা হয়তো বলেই ফেলছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

“জানেন, পাড়ায় গ্যাসের দোকানে কিছু জানতে গেলে, ওই যে একটু হেসে, ‘রূপাদি আসুন। কী লাগবে?’ জিজ্ঞেস করে। ওই সুন্দর ব্যবহারটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট স্পেশাল ট্রিটমেন্ট বলে মনে হয়। এর বেশি আমার

কিছু লাগবে না। আমার ছোট ভাঙা গাড়ি, আমার ট্যাক্স দিয়েই কেনা ওটাই আমার গর্বের,” পরিশেষে বলেন রূপা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE