তৈরি হচ্ছে গুলকন্দ। ছবি: সংগৃহীত।
গুলকন্দের ঔষধি গুনের কথা রয়েছে আয়ুর্বেদে। তাতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে গুলকন্দ। সাধারণত পানের ভিতরের সুগন্ধী আর সুস্বাদু উপকরণ হিসাবে আমরা অনেকেই গুলকন্দ খেয়ে থাকি। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে গুলকন্দ অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। আমাদের প্রতিদিনের অনিয়মিত জীবন যাপনে রক্তে যে দূষণ তৈরি হয়, সেই কলুষ দূর করে গুলকন্দ। আয়ুর্বেদ বিশ্বাসীরা এতদিন এইসব জেনে সুখে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিশ্বাসের গোড়া ধরে নাড়িয়ে দিয়েছে, গুলকন্দ তৈরির একটি ভিডিয়ো।
ভিডিয়োটি গুজরাতের একটি গুলকন্দ তৈরির কারখানার। কী ভাবে এই সুগন্ধী খাবার তৈরি হয় তা-ই ধরা পড়েছে ভিডিয়োয়। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২০০০ কেজি গোলাপের পাপড়ি প্রথমে পাখার হাওয়ায় শুকিয়ে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় মেশানো হচ্ছে কয়েক কেজি চিনির সঙ্গে। তার পর সেই মিশ্রণকে সূর্যের তাপে শুকানোর জন্য রেখে দেওয়া হচ্ছে খোলা জায়গায়।
নেটাগরিকেরা পুরো প্রক্রিয়াটি দেখে আঁতকে উঠেছেন। তাঁদের অধিকাংশই জানিয়েছেন,এই ভিডিয়ো দেখার পর তাঁদের গুলকন্দ নিয়ে যাবতীয় মোহ কেটে গিয়েছে। এর পর পানেও ওই সুগন্ধী ত্যাগ করবেন তাঁরা। কেউ আবার ভিডিয়োর একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, "ওরা ওই গোলাপের পাপড়ি গুলোর উপর পা দিয়ে মাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! যে গুলো আমরা খাই?" আবার কেউ লিখেছেন, "এত্ত চিনি! এত অস্বাস্থ্যকর একটা জিনিষ ওষুধ হয় কী করে?" রোদে শুকাতে দেওয়া গলকন্দে মাছি ঘুরছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy