গোপাল শেঠ ও আলোরানি সরকার। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদ থেকে আলোরানি সরকারকে সরিয়ে আনা হয়েছে গোপাল শেঠকে। বনগাঁর তৃণমূল শিবিরের এই দুই চরিত্রকে ঘিরে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে বুধবার। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় ইঙ্গিত করা হয়েছে, পুরভোটে দলের প্রার্থী গোপালকে হারাতে ‘চক্রান্ত’ করেছিলেন আলোরানি। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বনগাঁ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন গোপাল। তিনি জিতেওছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকাদের মধ্যে অন্যতম গোপাল। আলোরানিকে সরিয়ে মঙ্গলবার সেই গোপালকেই বনগাঁ জেলার সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ভিডিয়োয় এই দুই চরিত্রের কেউই সরাসরি নেই। দু’জনের মোবাইলে কথোপকথনের ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছে। তাতে নাম শোনা গিয়েছে গোপালের। এ ছাড়া ‘দিদি’ বলে এক জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই ‘দিদি’ কে তা ভাইরাল ভিডিয়োয় স্পষ্ট নয়।
ভিডিয়োয় এক ব্যক্তিকে আর এক জনের উদ্দেশে মোবাইলে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বলছি, বনগাঁর খবর কী?’’ উত্তরে মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, ‘‘তিন নম্বর ওয়ার্ডের? আমি তো শুনিনি।’’ তখন পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, ‘‘না, দিদি কী বলছে?’’ মোবাইলের অপর প্রান্তে থাকা ওই ব্যক্তি জবাব দেন, ‘‘দিদি বলেছে...গোপালরে হারাবে।’’ তখন এ পারের ব্যক্তি সাবধান করে দেওয়ার জন্য বলেন, ‘‘এটা কাউকে বোলো না। জানলে কিন্তু শেষ।’’ তখন অপর প্রান্তের ব্যক্তি পাল্টা বলেন, ‘‘ওরে বাবা! আপনি জানাবেন না কাউকে।’’ এ পারের ব্যক্তি জবাব দেন, ‘‘না, না আমি জানাব না।’’
গোপাল এবং আলোরানির দু’জনের কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। প্রতিক্রিয়া এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের নেতৃত্বের তরফে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্তের কথায়, ‘‘বনগাঁর ‘দিদি’ তাঁর উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছেন। যে ‘দিদি’ বনগাঁ এবং গোবরডাঙা পুরসভায় কিছু দুর্বৃত্তকে সঙ্গে নিয়ে দলবিরোধী এবং দল শেষ করার খেলায় মত্ত ছিলেন। গতকাল দলনেত্রীর ঘোষণার মধ্যে দিয়ে তাঁর দীপ নিভে গিয়েছে। গোপাল শেঠ সভাপতি হওয়ায় নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। যে যেমন কর্ম করবেন তিনি তেমন ফল করবেন।’’
এ নিয়ে বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর তথা বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘বাইরে থেকে যে লোক আনা হয়েছিল সেটা ওই ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy