কালীঘাট হোক কিংবা জেলা কমিটির বৈঠক—তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বার বার বলেছেন, গোষ্ঠী কোন্দল চলবে না। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই বসিরহাটেও বার বার নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মার খাচ্ছেন নেতারাও।
যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে আসবেন বারাসতে। রবিবার বিকালে তার প্রস্তুতি সভা ছিল সন্দেশখালির ধামাখালি গেস্ট হাউস সংলগ্ন মাঠে। সেখানেই সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী। মার খেলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ রণজিৎ দাস। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। রণজিৎবাবুর দাবি, ‘‘দলের এক নেতার নির্দেশেই আমার উপরে হামলা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’
স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রে খবর, মাস কয়েক ধরেই সন্দেশখালিতে এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল চলছে। সম্প্রতি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ন্যাজাটে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর হাতে স্থানীয় এক পেট্রোল পাম্প কর্মী মার খান। প্রতিবাদে অন্য গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিয়ে ন্যাজাটেই প্রতিবাদ মিছিল হয়। তারই জের হল রবিবারের গোলমাল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিকাল ৪টে নাগাদ রণজিৎবাবু ধামাখালির সভায় আসার পরেই গোলমাল শুরু হয়। তাঁর উপরে চড়াও হন কয়েকজন।
যদিও বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘রণজিৎবাবু গাড়ি নিয়েই মঞ্চের কাছে যেতে চাইছিলেন। তখন নিরাপত্তার কারণে পুলিশ তাঁকে বারণ করে। সেই নিয়ে বচসার বেশি কিছু হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy