বেহাল: ভাঙা ছাদ।নিজস্ব চিত্র
সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরাই ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়!
তাঁরা— মগরাহাট থানার পুলিশকর্মী। যে আবাসনে তাঁরা থাকেন, তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। ছাদের চাঙড় খসে পড়তে পারে যে কোনও সময়। বৃষ্টি হলেই খাটে পলিথিন ঢাকা দিয়ে বসে থাকেন তাঁরা। কারণ, ছাদ থেকে জল পড়ে।
সেখানের এক পুলিশকর্মীর আক্ষেপ, ‘‘এ ভাবে কি মানুষ থাকতে পারে! টানা ডিউটির পরে রাতে আরামে ঘুমোনোর উপায় নেই। বৃষ্টি হলেই ঘরে পায়চারি করে সময় কাটাতে হয়। নয়তো পলিথিন মাথায় দিয়ে বসে থাকতে হয়। আর পারা যাচ্ছে না।’’
কয়েক বছর আগে মগরাহাটের থানা ভবন সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আবাসন কবে সংস্কার হবে, এটাই এখন প্রশ্ন পুলিশকর্মীদের। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বর্তমানে ওই থানায় কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪৫ জন পুলিশকর্মী। গরমে বা শীতে আবাসনে কোনও রকমে কাটাতে পারলেও বর্ষা এলেই তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে। আবাসনের দেওয়াল ভরে গিয়েছে আগাছায়। তা কাটতে গেলে দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান পুলিশকর্মীরা। তা ছাড়া, দেওয়াল ও আশপাশের জঙ্গলে সাপের উপদ্রবেও অতিষ্ঠ পুলিশকর্মীরা। যখন-তখন থানা চত্বরেও সাপের আনাগোনা দেখা যায়। সকলেই চান, এই পরিস্থিতির উন্নতি।
অবশ্য আবাসনের পাশাপাশি থানার সামগ্রিক পরিকাঠামোর উন্নতির কথাও বলছেন পুলিশকর্মীরা। কারণ, পুলিশের ব্যবহারের জন্য রয়েছে বহু পুরনো তিনটি গাড়ি। পুলিশকর্মীরা মানছেন, গাড়িগুলির এমনই দশা, তা নিয়ে দুষ্কৃতী ধাওয়া করে ধরা কঠিন ব্যাপার। দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়েছে, সেই নজিরও রয়েছে। সমস্যা রয়েছে মালখানারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy