Advertisement
০১ মে ২০২৪
Canning Subdivision Hospital

হাসপাতালের শয্যায় কুকুর-বিড়াল, বিরক্ত রোগীরা

ক্যানিংয়ের থুমকাঠি থেকে মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন ববিতা হালদার। বেশ কিছু দিন ধরে জ্বর, মাথা ব্যথা-সহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।

সহাবস্থান: হাসপাতালের বেডে বসে বিড়াল।

সহাবস্থান: হাসপাতালের বেডে বসে বিড়াল। নিজস্ব চিত্র ।

প্রসেনজিৎ সাহা
ক্যানিং  শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৪
Share: Save:

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে কুকুর, বিড়ালের দাপটে ঘুম উড়েছে রোগীদের। ওয়ার্ডের মধ্যেই যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, বেড়াল। শুধু ঘুরে বেড়ানো নয়, রাতে রোগীর বিছানাতেও কুকুর, বেড়াল উঠে শুয়ে থাকছে বলে অভিযোগ। আর এতেই হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।

ক্যানিংয়ের থুমকাঠি থেকে মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন ববিতা হালদার। বেশ কিছু দিন ধরে জ্বর, মাথা ব্যথা-সহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সারা দিনই হাসপাতালের ভিতরে বিড়ালের উৎপাত। বাড়ির লোকজন সব সময়ে ওয়ার্ডে ঢুকতে পারছেন না, এ দিকে, কুকুর-বিড়ালের অবাধ আনাগোনা!’’ একই অভিযোগ, গোসাবার সাতজেলিয়ার বাসিন্দা সুদীপ হালদারের। তিনি বলেন, “দিনের থেকেও বেশি উৎপাত রাতে। রোগীরা ঘুমিয়ে পড়তেই তাঁদের পাশে কুকুর, বিড়াল শুয়ে থাকছে। নার্স, ডাক্তারদের বললে উল্টে তাঁরা আমাদেরই বকছেন, কেন ঘুমিয়ে পড়েছি?” স্থানীয় মানুষ তথা রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের দাবি, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা একটু সচেতন হলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

অভিযোগ মেনে নিয়ে হাসপাতালের সুপার পার্থসারথি কয়াল বলেন, ‘‘আমি কিছু দিন হল হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়েছি। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনা করে কী ভাবে এই সমস্যা দ্রুত মেটানো যায়, তা দেখছি। তা ছাড়া, ব্লক প্রার্ণী সম্পদ দফতরে এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছি।” রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Canning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE