তট পরিষ্কার করছেন সাফাই কর্মীরা। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।
পরিবেশ-বান্ধব গঙ্গাসাগর মেলা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ নম্বর রাস্তায় স্নানঘাটের কাছে ‘গ্রিন ক্লিন’ গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মেলা চত্বর প্লাস্টিকমুক্ত রাখার চেষ্টা হচ্ছে। এক সঙ্গে এই কাজ করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, জেলা প্রশাসন ও গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ। এ বছর মেলায় পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ বিলি করা হচ্ছে। ১৬ লক্ষ ব্যাগ বিলি করা হবে। বসানো হয়েছে বর্জ্য নিষ্কাশন যন্ত্র। সাগর ব্লক প্রশাসনের তরফে মেলা চত্বর সাফ রাখার জন্য পাঁচ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। বসানো হয়েছে ৪০০০ ডাস্টবিন। মেলা চত্বরের দোকানগুলি থেকেও পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে মাইক প্রচার চলছে প্রশাসনের তরফে। মেলা প্রাঙ্গণ ও সমুদ্রতট নোংরা না করার আবেদন করা হচ্ছে। পাটের ব্যাগে প্রসাদ বিতরণের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
পর্যটকেরা যাতে প্লাস্টিকের জলের বোতল যেখানে সেখানে না ফেলেন, তা-ও দেখা হচ্ছে। সমুদ্রদূষণ রুখতে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ‘ফ্লোটিং বুম’ রাখা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে জাল। এই ভাসমান বুম জলের উপরিভাগ থেকে জালকে ভাসিয়ে রেখে জলের আবর্জনা আটকাবে। এ বছর মেলা চত্বরে স্থায়ী শৌচালয় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। অস্থায়ী শৌচালয় রয়েছে ৩৫০০টি। যদিও লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য তা পর্যাপ্ত কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জেলাশাসক বলেন, “মেলাকে পরিবেশ-বান্ধব করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত সমুদ্রতট সাফাই করছেন কর্মীরা।” বঙ্কিম বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি গঙ্গাসাগর মেলাকে নির্মল মেলা বলে ঘোষণা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy