অশোক ঘোষের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। —নিজস্ব চিত্র।
তাঁর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হেমন্ত বসু ভবন থেকে শেষ বারের মতো বেরিয়ে গেলেন অশোক ঘোষ। ফরওয়ার্ড ব্লকের দীর্ঘ ৬৫ বছরের রাজ্য সম্পাদক অশোকবাবুর মরদেহ পিস হাভেন থেকে শনিবার সকালে রাজ্য দফতরে আনা হয়। হাজার দু’য়েকেরও বেশি দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং আমজনতার পাশাপাশি এ দিন অশোক ঘোষের মরদেহে অন্তিম শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বামপন্থী দলগুলির নেতারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী, প্রবীণ সিপিআই নেতা মঞ্জুকুমার মজুমদার প্রমুখ অশোক ঘোষের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান এ দিন। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যও হেমন্ত বসু ভবনে যান শ্রদ্ধা জানাতে।
আরও পড়ুন:
বাঘমুণ্ডির আশ্রমে চলছে সমাধির জমির খোঁজ
প্রয়াত নেতার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা তাঁর সর্বক্ষণের দুই সঙ্গী জগন্নাথ পাত্র ও কানাই শী-এর।
ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য এবং দলীয় দফতরে অশোক ঘোষকে দেখভাল করার ভারপ্রাপ্ত দুই সর্বক্ষণের কর্মী জগন্নাথ পাত্র ও কানাই শী প্রবীণ নেতার মরদেহ শববাহী শকটে তুলে দেন। তার পর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে শুরু হয় অন্তিম যাত্রা। ৯৪ বছর বয়সে অশোকবাবু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাই ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীরা দলের ৯৪টি অর্ধনমিত পতাকা নিয়ে মিছিলে সামিল হন। একই ভাবে ৯৪টি অর্ধনমিত দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে সামিল হয়েছেন সিপিএম কর্মীরাও। নিজেদের দলের নেতা বা কর্মীর অন্তিম যাত্রা ছাড়া অন্য কোনও দলের নেতার ক্ষেত্রে নিজেদের অর্ধনমিত দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে সামিল হতে সিপিএমকে সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু বামফ্রন্টের প্রবীণতম নেতা অশোক ঘোষের মৃত্যুর পর সিপিএম পলিটব্যুরোই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়।
মিছিল শেষ হবে শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে। সেখান থেকে চুঁচুড়া হয়ে অশোক ঘোষের মরদেহ চলে যাবে পুরুলিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy