এমনই হাল বনসুজাপুর গ্রন্থাগারের। নিজস্ব চিত্র
প্রায় ১৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে গলসি ১ ব্লকের সরকার পোষিত বনসুজাপুর গ্রন্থাগার। পাঠক এবং স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, গ্রন্থাগারটির বেশির ভাগ বই এবং আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাকি বইগুলি রাখা হয়েছে অন্যের বাড়িতে। তাঁদের দাবি, দ্রুত সংস্কার করে চালু করা হোক গ্রন্থাগারটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৬-এ গ্রামবাসীর দানের জমিতে গড়ে উঠেছিল গ্রন্থাগারটি। নাম দেওয়া হয়েছিল উজ্জ্বলা। সেটি ব্যবহার করতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। অচিরেই সেটি এলাকার জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। কিছুদিনের মধ্যেই গ্রন্থাগারটি সরকারের অধীনে আসে।
গ্রন্থাগারে গল্প, উপন্যাস, পাঠ্যবই-সহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার বই ছিল। বেশ কয়েকটি পত্রিকাও রাখা হত। সকাল-বিকেল পড়াশোনা করতে আসতেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। পাঠখদের দাবি, বাম জমানার শেষ দিকে অবহেলার কারণে রুগ্ণ হতে শুরু করে গ্রন্থাগারটি। দেখভালের অভাবে আসবাবপত্র ও ঘর নষ্ট হয়ে যায়। বছর পনেরো বছর আগে তালা পড়ে গ্রন্থাগারে।
পেশায় শিক্ষক অপূর্ব সোম, সুরজিৎ সোম, পার্থসারথি সাঁই ও কৌশিক কুণ্ডুরা বলেন, “পাঠাগারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়া এবং পাঠকেরা বই ও পত্রপত্রিকা পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জ্ঞান এবং সাহিত্য চর্চা ব্যাহত হচ্ছে।” স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কাছে তাঁরা গ্রন্থাগার খোলার দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বনসুজাপুর উজ্জ্বলা গ্রন্থাগারটির পরিস্থিতি জানা নেই। গ্রামবাসী আবেদন জানালে সেটি চালুর পদক্ষেপ করা হবে।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত গ্রন্থাগারটি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন ভবন গড়তে অর্থও অনুমোদন করা হয়েছে। উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনসা বাউরি বলেন, “গ্রন্থাগারের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন গড়া হবে। এই কাজে ৬,২১,৩৭০ টাকা অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy