Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পুলিশের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর নালিশ

লোহার অবৈধ কারবারের বন্ধের দাবি জানাতে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন এক যুবক ও তাঁর বন্ধুরা। সেই ‘রোষে’ বল্লভপুর ফাঁড়ির ওসি ও এক জন এএসআই তিন জনকেই ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসিয়েছেন বলে আদালতে অভিযোগ করলেন এলাকার নেপালিপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০০:৫১
Share: Save:

লোহার অবৈধ কারবারের বন্ধের দাবি জানাতে ফাঁড়িতে গিয়েছিলেন এক যুবক ও তাঁর বন্ধুরা। সেই ‘রোষে’ বল্লভপুর ফাঁড়ির ওসি ও এক জন এএসআই তিন জনকেই ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসিয়েছেন বলে আদালতে অভিযোগ করলেন এলাকার নেপালিপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা। মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি নিয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সাধনা দাস নামে ওই মহিলার আইনজীবী রত্নপাণি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে ফাঁড়ির ওসি প্রসেনজিৎ মণ্ডল ও এএসআই সুবীর সরকারের বিরুদ্ধে আসানসোল এসিজেএম আদালতে অভিযোগ করেছেন আমার মক্কেল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রানিগঞ্জ থানাকে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত।’’

সাধনাদেবীর অভিযোগ, লোহার এক অবৈধ কারবারির দৌরাত্ম্যে এলাকায় মদের ঠেক, বহিরাগতদের দাপাদাপি-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছে। অভিযোগ, পুলিশ এ সব থামাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মহিলার দাবি, তাঁর ছেলে রবীন দাস এবং দুই বন্ধু ছোটু সাউ, নীরজ ভুঁইয়া ৩ জানুয়ারি কয়েক জন বাসিন্দাকে সঙ্গে নিয়ে ফাঁড়িতে গিয়ে এ সবের প্রতিবাদ জানান।

এর পরের দিন, ৪ জানুয়ারি ফাঁড়ির সেনজিৎবাবুরা বাড়িতে ঢুকে প্রতিবাদ বন্ধ করতে বলেন বলে দাবি সাধনাদেবীর। অভিযোগ, সে দিন টাকাও দাবি করেন ওই পুলিশকর্মীরা। প্রয়োজনে ‘মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেওয়া হয়। ৬ জানুয়ারি ওই দুই পুলিশকর্মী এলাকার একটি চুরির ঘটনায় ছেলে বলে জড়িত দাবি করে রবীনবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ মহিলার। সাধনাদেবীর আক্ষেপ, ‘‘প্রতিবাদ করায় এ ভাবে হেনস্থা হতে হবে ভাবিনি।’’

৭ জানুয়ারি ওই তিন জন আসানসোল আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, ফের ২৪ জানুয়ারি চুরির অভিযোগেই রবীনবাবু ও তাঁর বন্ধুদের গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এক দিনের মধ্যে তাঁরা ফের জামিন পেয়ে যান।

সাধনাদেবীর আইনজীবী জানান, ১ মার্চ মামলা শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীর যদি দাবি করেন, ‘‘যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে, কোনও ভিত্তি নেই।’’ এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) জে মারসি বলেন, ‘‘এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তও হচ্ছে। আদালতের নির্দেশেই কাজ হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

False Case Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE