অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
গ্রেফতারের ৫৭ দিনের মাথায় গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই। সূত্রের খবর, এই মামলায় ৩৫ পাতার চার্জশিট দেওয়া হল। শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে আসানসোল আদালতে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট মিলিয়ে মোট চারটি চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার শুধু অনুব্রতের নামে চার্জশিট জমা পড়েছে। মোট ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। এই মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন অনুব্রত। এর পর যত দিন গড়িয়েছে, তৃণমূলের ‘কেষ্ট’-র একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
এই মামলার তদন্তে নেমে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬.৯৭ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হদিস পাওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্যাঙ্কে মূলত স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) হিসাবে রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা ও বীরভূমে অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তি সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায়। বোলপুরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক চালকলেরও সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও তাঁর নামে কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই বলে দাবি করেছেন অনুব্রত।
তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সম্পত্তিও। শুক্রবার সহগলকে জেরা করতে আসানসোল জেলে গিয়েছেন ইডির একটি বিশেষ দল। সম্পত্তির উৎস কী, এ ব্যাপারে জানতেই সহগলকে জেরা করা হবে। এই প্রেক্ষাপটে গরু পাচার মামলায় সিবিআই চার্জশিট এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy