হঠাৎ ঝড়ে এমনই হাল হল নানা মণ্ডপ ও বাঁশের গেটের। বৃহস্পতিবার কালনায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
মিনিট কুড়ির দুর্যোগে কালনা শহরের সরস্বতী পুজোর বেশ কিছু মণ্ডপ ভেঙে পড়ল। কালনা-পান্ডুয়া রোড এবং এসটিকেকে রোডে দু’টি জায়গায় বাঁশের গেট ভেঙে যান চলাচল ব্যাহত হয়। বৈদ্যপুরে একটি বাঁশের গেট ভেঙে গুরুতর জখম হন এক ছাত্রী। অর্পিতা সাহা নামে ওই ছাত্রীকে মাথায় আঘাত নিয়ে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সরস্বতী পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির দাবি, দুর্যোগে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৫টি মণ্ডপের।
এ দিন দুপুরে আচমকা মেঘ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে শুরু হয় দমকা হাওয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলীর সমুদ্রগড়ের বাসিন্দা অর্পিতা কালনায় একটি কোচিং সেন্টারে এসেছিলেন। বৈদ্যপুর মোড় হয়ে তিনি ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন কালনা স্টেশনে। আচমকা একটি বাঁশের বড় গেট রাস্তায় ভেঙে পড়লে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে মাথার ভিতরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ এবং কালনার উপপুরপ্রধান তপন পোড়েল। বিধায়ক জানান, ছাত্রীর চিকিৎসার যাতে কোনও ত্রুটি না হয়, তা দেখা হচ্ছে।
বৈদ্যপুর মোড়ের কাছে কালনা-পান্ডুয়া রোডে বাঁশের গেট ভেঙে ঘণ্টা দেড়েক যান চলাচল ব্যাহত হয়। লিচুতলাতেও একটি মণ্ডপের গেট ভেঙে পড়ে এসটিকেকে রোডে। তার জেরে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে যান চলাচল। পুলিশ, পুজো কমিটির লোকজন ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় রাস্তা পরিষ্কার হয়। দুর্যোগের পরে তালবোনা সপ্তর্ষি সঙ্ঘ, বারুইপাড়া মিতালি সঙ্ঘ-সহ অনেক ক্লাবেরই মণ্ডপ কোথাও আংশিক, কোথাও পুরো ভেঙে পড়ে। তালবোনা সপ্তর্ষি সঙ্ঘের তরফে জেলা পরিষদ সদস্য আরতি হালদার বলেন, ‘‘মণ্ডপের খুব ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার মণ্ডপশিল্পীরা এসে মেরামতের চেষ্টা করবেন।’’ উপপুরপ্রধান বলেন, ‘‘পরের বার প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তার পাশে থাকা গেটগুলি যাতে আরও শক্ত ভাবে তৈরি করা হয়, সে নিয়ে আলোচনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy