খাবার পরীক্ষা করছেন সুপার। নিজস্ব চিত্র।
সবে রান্নার কাজ শুরু হয়েছিল। আচমকা সেখানে ঢুকে কর্তার প্রশ্ন, ‘বাইরের লোক এখানে কেন?’— মঙ্গলবার এ ভাবেই রান্নাঘর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস।
এ দিন সকালে রান্নাঘরে ঢুকেই কর্মরত ১৪ জন কর্মী কেন নির্দিষ্ট পোশাক পরে নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুপার। সেখানে দাঁড়িয়েই নিখিলবাবু নির্দেশ দেন, আজ, বুধবার থেকে রান্না ও খাবার পরিবেশনের সময়ে দস্তানা, মাথায় টুপি পরতে হবে ওই কর্মীদের। গলায় ঝোলাতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্র। নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করতে হবে খাবারের ট্রলি, বাসন।
দিন কয়েক আগেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন সেখানের সুপার। আসানসোলেও রোগীদের একাংশ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীদের পাতে প্রতি দিন দুপুর ও রাতের খাবারে ৭৫ গ্রাম ওজনের মাছের টুকরো দিতে হবে। মাছ না থাকলে দিতে হবে একটি ডিম। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত তরকারি ও ডাল রাখতে হবে পাতে। এ দিন নিখিলবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘পরিমাণ মোটামুটি ঠিক আছে, তবে খাবারের মান বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত শনিবার রোগীকল্যাণ সমিতির সভায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ, রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের একাধিকবার হাসপাতালের সাফাই ও নিকাশি নিয়ে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডগুলি ঘুরে দেখেও বেশ কিছু অনিয়ম লক্ষ করেন নিখিলবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘পর্যাপ্ত সাফাই কর্মী নেই। তবুও হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা হচ্ছে। এক সপ্তাহে অবস্থার উন্নতি হবে।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ডায়ালিসিস, বার্ন ইউনিট, শিশুদের জন্য এসএনসিইউ, ট্রমা সেন্টার-সহ পরিকাঠামো উন্নতির কাজ চলছে। এক কথায়, মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy